‘সহিংসতা সমস্যার সমাধান নয়’, কৃষক-বিক্ষোভের পর টুইট রাহুল গান্ধী, অমরিন্দর সিংয়ের

পাঞ্জাবের (Panjab) মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং (CM AmarinderSingh) সমস্ত “প্রকৃত কৃষকদের” দিল্লি খালি করার আহ্বান জানিয়েছেন। দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে (Singhu Border) বিক্ষোভরত কৃষকরা আজ দিল্লির রাজপথে ট্রাক্টর মিছিল করেন। পুলিশের সঙ্গে বারবার সংঘর্ষে লিপ্ত হন তাঁরা। গত বছরের নভেম্বর মাসের শেষে কেন্দ্রের কৃষি আইনগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে আন্দোলন করছেন কৃষকরা।

অমরিন্দর সিং টুইট করে লিখেছেন, ” দিল্লিতে মর্মান্তিক দৃশ্য। কিছু উপাদান কর্তৃক সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়। এই বিক্ষোভ নেতিবাচক শুভেচ্ছার সৃষ্টি করবে। কৃষক নেতারা নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে ট্র্যাক্টর সমাবেশ স্থগিত করেছেন। সমস্ত প্রকৃত কৃষকদের দিল্লি খালি করার এবং সীমান্তে ফিরে আসতে অনুরোধ করছি।”

টুইট করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi)। তিনি বলেন, “সহিংসতা কোনও সমস্যার সমাধান নয়। কেউ আহত হলে আমাদের জাতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। দেশের স্বার্থে কৃষক বিরোধী আইন ফিরিয়ে নিন!”

আজ প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day) হওয়ায় দিল্লির রাজপথ বার্ষিক কুচকাওয়াজের আয়োজন চলেছিল। সিঙ্ঘু, টিক্রি এবং গাজীপুর – তিনটি সীমান্তে কয়েকশো কৃষক জড়ো হয়। তাদের মনোনীত রাজপথে প্যারেড শেষ হওয়ার পরে তাদের ট্র্যাক্টর সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে, সকাল আটটার মধ্যেই একদল কৃষক সীমান্তে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সেখানে প্রবেশ করে।

গোটা দিল্লির দখল নিয়ে ফেললেন আন্দোলনকারীরা। রণক্ষেত্রের চেহারা নিল আইটিও চত্বর, নাংলোই এলাকা। তার মধ্যেই নজিরবিহীন ছবি দেখা গেল লাককেল্লায়। পুলিশের বাধা পেরিয়ে দুপুরের দিকে এক দল কৃষক ঢুকে পড়েন লালকেল্লা চত্বরে। পুরো চত্বর চলে যায় আন্দোলনকারীদের দখলে। চলতে থাকে স্লোগান। তাঁরা পৌঁছে যান লালকেল্লায় জাতীয় পতাকার কাছাকাছি। গম্বুজের মাথায় জাতীয় পতাকা উড়ছিল। নীচে পোঁতা ছিল আরও একটি পাইপ। সেই পাইপ বেয়ে উঠে সংগঠনের পতাকা টাঙিয়ে দেন এক জন। লালকেল্লার গম্বুজের উপরেও উঠে পড়েন অনেকে।

আরও পড়ুন-কৃষক-বিক্ষোভের পর নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করতে বৈঠকে অমিত শাহ

Advt

Previous articleকোভিড বিধি মেনে মহাসমারোহে পালিত হল সাধারণতন্ত্র দিবস 
Next articleলালকেল্লায় কৃষক আন্দোলনের পতাকা ওড়ানোর সমালোচনা, কী বললেন কৃষক নেতারা?