শুক্রবার তৃণমূল ভবনে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হাত ধরে নাট্যকার ও নাট্য পরিচালক গৌতম মুখোপাধ্যায়,অনীশ ঘোষ,শেখর সমাদ্দার,বিজয় মুখোপাধ্যায়-সহ আরও বেশ কিছু পরিচিত নাট্য-ব্যক্তিত্ব। বিশিষ্টজনদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিয়ে ব্রাত্য বসু বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। বলেন, “কলকাতা বা জেলার একজনও নাট্য কর্মীর হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেখাক বিজেপি।” তিনি আরও বলেন, “কোন কোন ফিল্ম আর্টিস্ট বিজেপিতে যেতে পারেন? মুম্বই থেকে অনেক ফিল্মস্টার বিজেপিতে যোগ দেওয়াতে পারে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বিশেষত থিয়েটারের কোনও লোককে ওঁরা কোনদিন দলে যোগ দেওয়াতে পারেনি আর ভবিষ্যতেও পারবে না।” ব্রাত্য বসু বলেন, “২০১৪-তে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে তাঁরা বিভিন্ন নাট্যকর্মীদের গ্রান্টস বন্ধ করে দিয়েছে। এটাই প্রমাণ করে যে বিজেপি থিয়েটার বিরোধী ও নাট্যকর্মীদের বঞ্চিত করছেন।” এরপর তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষ বলেন,”বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা থিয়েটারের জন্য ২০১১ থেকে টানা কাজ করে চলেছেন। সেখানে বিজেপি সরকার ঠিক তার উল্টো সংস্কৃতি বিরোধী কাজ করে চলেছে।”
কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ফের বঙ্গ সফর প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু বলেন, “দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঠাকুরনগরে গিয়ে মতুয়াদের আরাধ্য দেবতা শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরকে হরিশ চন্দ্র ঠাকুর বলে অভিহিত করেন। তিনি গুজরাট থেকে এসে মতুয়াদের দেবতা কে অপমান করেছেন তাই ঠাকুরনগরের মানুষকে অমিত শাহের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে বলেন এবং কালো পতাকা দেখাতে বলেন রাজ্যের মন্ত্রী।
রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের দল বদলের সম্ভাবনা প্রসঙ্গেও এদিন ব্রাত্য বসু বলেন,”যাঁরা যাচ্ছেন বা যাবেন তাঁরা যেতে পারেন,তৃণমূল কংগ্রেস তাঁদের নিয়ে চিন্তিত নয়।”
আরও পড়ুন-শুভেন্দুর তৈরি করা ‘স্ক্রিপ্টই’ অনুসরণ করলেন রাজীব