‘মান থাকলে তো হানি করা যায়!’ শুভেন্দুর নোটিশ পেয়ে অভিষেকের কড়া আইনি জবাব

পাল্টা চিঠি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পাঠানো নোটিশের ( Legal notice) জবাবে কার্যত ধুইয়ে দিলেন অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসু ( Advocete Sanjoy Basu)। সদ্য বিজেপিতে যাওয়া নেতাকে ব্যর্থ রাজনীতিক, ছিঁচকাঁদুনে বলে কটাক্ষ করে থেমে থাকেননি। জবাব দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, মান থাকলে তো হানি করা যায়!

অভিষেকের যুক্তিনিষ্ঠ এবং পাল্টা কড়া চিঠিতে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, ক্যামেরার সামনে ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছে আপনার মক্কেলকে। নারদা কাণ্ডে নাম রয়েছে আপনার মক্কেলের। সারদাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন ( Sudipta Sen) কোর্টকে যে চিঠি দিয়েছেন, সেই চিঠিতে তিনি আপনার মক্কেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, তোলাবাজির অভিযোগ করেছেন। এটা থেকেই স্পষ্ট, আপনার মক্কেলের মানই নেই, তাই মানহানির প্রশ্নই উঠছে না। ফলে আপনার চিঠির অভিযোগ ধোপে টিকছে না।

সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগের পাশাপাশি অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় লিখেছেন, আপনার মক্কেল এমন একটা ধারণা তৈরির চেষ্টা করছেন যেন আমজনতার স্নেহ-ভালবাসা তাঁর সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু এটা কষ্ট কল্পনা মাত্র। জনপ্রতিনিধি হয়ে আপনার মক্কেল ঘুষ আর সুবিধা নিচ্ছেন, এই ছবি সকলের মনে গেঁথে রয়েছে। মানুষ জানেন, বোঝেন, দেখেছেন, দেখছেন। তাঁরা বুঝেছেন কোনটা সত্যি। আপনার মক্কেল আসলে কল্পনার জগতে বাস করছেন।

শুধু দুর্নীতির প্রশ্ন নয়, রাজনীতিক শুভেন্দুকে আক্রমণ করে জবাবি চিঠিতে লেখা হয়েছে, রাজনীতিতে ব্যর্থ হয়েও শুভেন্দু ভাবছেন তিনি আসলে মস্ত রাজনীতিবিদ। আসলে একজন অদক্ষ লোক একজন দক্ষ রাজনীতিবিদকে শিশু ও অপরিণত ভাবছেন। এটা আসলে আপনার মক্কেলের অপরিণামদর্শিতার ফসল। উনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই দক্ষ এবং দৃঢ়চেতা রাজনীতিককে সমানে কটূক্তি করে চলেছেন।

বিজেপিতে যোগ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী প্রায় সব জনসভাতেই অভিষেককে ‘ভাইপো’ বলে অসাংবিধানিক ও প্রমাণহীন আক্রমণ চালাচ্ছেন। পাল্টা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন, আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির একটা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুবরণ করবেন। কিন্তু তার আগে শুভেন্দু প্রমাণ করুন নারদায় টাকা নেওয়ার ভিডিও কিংবা সারদা কর্তার চিঠিতে লেখা ‘তোলাবাজির’ অভিযোগ ভুল। তারপরই শুভেন্দু আইনজীবীর নোটিশ পাঠান। সেখানে শুভেন্দুর আইনজীবী লেখেন, দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে নির্দিষ্ট শাস্তি আছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না। পাল্টা অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় জবাব দিয়ে বলেছেন, আমার মক্কেল মানুষকে মোটেই বিভ্রান্ত করেননি। আসলে দুর্নীতির প্রমাণ ও অভিযোগে খোদ শুভেন্দু অধিকারী বিভ্রান্ত। তাই কোর্টকে লেখা সারদা কর্তার চিঠি লেখানো হয়েছে বলে নিজের পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে। বাক স্বাধীনতার কারণেই এই অভিযোগ খণ্ডন করার দায়িত্ব আপনাদের। সেটাই করুন। তা সত্ত্বেও আইনি পথে হাঁটলে তার কড়া জবাব পাবেন।

নোটিশ, পাল্টা নোটিশ যে আগামী নির্বাচনের হাওয়াকে আরও উত্তপ্ত করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আরও পড়ুন:প্রয়াত ‘তেরো পার্বণ’-এ গোরার দাদা ইন্দ্রজিৎ দেব

Advt

Previous articleস্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে দিতেই হবে চিকিৎসা, নির্দেশ কলকাতা পুরসভার
Next articleবহিষ্কার প্রত্যাহার বিজেপির, স্বমহিমায় ফের রাজনীতিতে ফিরছেন কালোসোনা