বারুইপুরের (Baruipur) সভা (Rally) থেকে স্বাভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তাঁর পুরোনো দল তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) আক্রমণ শানালেন নব্য বিজেপি (BJP) নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। রাজীব কিছুটা নীতিগত দিক দিয়ে তাঁর পুরোনো দলকে বিঁধলেও আগাগোড়াই আক্রমণাত্মক ছিলেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক।
নাম না করে মমতার বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banarjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhisek Banerjee) বিরুদ্ধে এদিন একাধিক অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু। তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকেও (Prasant Kishor) কটাক্ষ করেন তিনি। তাঁর কথায়, “তৃণমূল তো একটা রাজনৈতিক দল নয়, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। দু-জন মিলে দল চালায়। আর সেই কোম্পানি চালাতে বিহার থেকে লোক আনা হয়েছে। বুদ্ধি এত ভোঁতা হয়ে গেছে যে, বিহার থেকে বুদ্ধি ধার করার লোক এনেছে দল চালাতে।”
এখানেই শেষ নয়। পুরোনো দলকে তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, “চাকরি নেই। ৫ থেকে সাড়ে ৫ লক্ষ পদ তুলে দিয়েছে! প্রকৃত বেতন কেউ পায় না। সব চুক্তিভিত্তিক চাকরি। করোনা না এলে তো জানতেই পারতাম না, যে বাংলার গ্রামগঞ্জের এত লোক বাইরে কাজ করেন! তৃণমূল চাল-চোর, আমফানের টাকা-চোর। কয়লা-চোর। আর এখন টিকা-চোর! আপনাদের লড়তে হবে।”
বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে এদিনের সভা থেকে ভোকাল টনিক দেন শুভেন্দু অধিকারী। বারুইপুরে দাঁড়িয়ে তিনি বঙ্গ করেন। “এটা নাকি তৃণমূলের দুর্গ!। কিন্তু এই জেলা থেকেই বিজেপি সবচেয়ে ভাল ফল করবে। সংখ্যালঘু ভাইয়েরা কী শুধু তৃণমূলকে ভোট দেবে! নরেন্দ্র মোদিজি কি লকডাউনের সময় শুধু বেছে বেছে চাল দিয়েছেন? সংখ্যালঘু ভাই-বোনদের চাল দেননি? টাকা দেননি?” প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন-“আমাকে যত জুতোর মালা পরাবে, ততই ভোট বাড়বে বিজেপির”, দাবি রাজীবের