দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বারুইপুরে (Baruipur) বিজেপির (BJP) জনসভা (Rally) ও যোগদান মেলায় যাওয়ার পথে শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikary) ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rajib Banerjee) কালো পতাকা (Black Symbols) দেখালেন স্থানীয় মানুষ। এদিন রবীন্দ্রভবন সংলগ্ন নিউ ইন্ডিয়ান ক্লাবের মাঠে ছিল শুভেন্দু-রাজীবের সভা। হাজির ছিলেন মুকুল রায়, সায়ন্তন বসু, রিমঝিম মিত্ররা। আর সেই সভাতে যোগ দিতে আসার পথে পদ্মপুকুর এলাকায় তাঁদের কনভয় পার হওয়ার সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কালো পতাকা দেখান একদল মানুষ।
যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেভাবে উত্তেজনা ছড়ায়নি।
কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে নির্বিঘ্নেই সভাস্থলে পৌঁছন রাজ্যের শুভেন্দু ও রাজীব।
এরপর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে বক্তৃতা দিতে উঠে কালো পতাকার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, “আসলে হতাশা থেকে তৃণমূলের লোকজন আমাদের কালো পতাকা দেখাচ্ছে। তৃমমূল শেষ হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। কালো পতাকা দেখানোর মধ্যে দিয়েই তার প্রমাণ মেলে।”
অন্যদিকে, কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়ে শুভেন্দু বলেন, “বারুইপুরে তৃণমূলের ছোট ছোট তোলাবাজরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ওরা কালো পতাকা দেখিয়েছে, আর আমি ওদের হাতনেড়ে প্রণাম করেছি। আসলে মুখগুলি চিনে রাখতে হবে। মে মাসের পর এরাই বিজেপিতে যোগ দিতে আসবে।”
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব জানাচ্ছে, শুভেন্দু আর রাজীবের মতো বেইমানকে প্রতি দলের নীচুতলার কর্মী ও সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এই কালো পতাকা। বিশ্বাসঘাতকদের এমনই জবাব দেবে মানুষ।
বারুইপুরের এই সভাকে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব যোগদান মেলা বলেছে। তবে ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার ছাড়া সেভাবে আর কোনও পরিচিত নামকে বিজেপিতে যোগ দিতে দেখা যায়নি। এই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “যোগহীন মেলায় যোগদান করবে কে!’’
দুপুর ১২টায় মূল সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, তা প্রায় দু’ঘন্টা দেরিতে শুরু হয়। সাড়ে ১২টা নাগাদ যখন মুকুল রায় যখন সভাস্থলে আসেন, তখন মাঠ কার্যত ফাঁকা (Empty)। হতাশ হয়ে পড়েন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। পরে অবশ্য মাঠ কিছুটা ভরে। তবে তা আশানুরূপ ছিল না।
আরও পড়ুন:ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি, ভোট মিটলে পালায় বিজেপি: হালকা মেজাজেও তীব্র কটাক্ষ মমতার