ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা করে বাম-কংগ্রেসের উপর কৌশলী চাপ আব্বাসের

জোটের (Alliance) জটে আব্বাস সিদ্দিকির (Abbas Siddique) ভোট ভবিষ্যৎ। এই প্রথম সরাসরি একটি কেন্দ্রের নাম ঘোষণা করলেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা, যেখানে তাঁর দল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (ISF) প্রার্থী দেবে। এবার বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election) হাইভোল্টেজ কেন্দ্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) কেন্দ্রে প্রার্থী দেবেন তিনি। এই ঘোষণার মাধ্যমে আব্বাস যেমন বাম-কংগ্রেসের (Left Congress) উপর চাপ বাড়ালেন, ঠিক একইভাবে খোলা রাখলেন বাম-কং জোটে অংশীদার হওয়ার পথও।

প্রসঙ্গত, ডায়মন্ড হারবারের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মোহনপুরে একটি ধর্মীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা জানান, “বাম নেতারা আগ্রহ দেখিয়েছিলেন তাই তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়তে বাম নেতৃত্বকে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। চিঠিতে বেশকিছু নির্দিষ্ট আসনের দাবিও জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনওরকম আলোচনার টেবিলে না বসেই বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস নিজেদের মধ্যে ২৩০টি আসনে সমঝোতা করে ফেলেছে বলে জানতে পারছি। বামেদের মনোভাব এখনও আমার কাছে স্পষ্ট নয়। তাই জোটে থাকি কিংবা না থাকি, ডায়মন্ড হারবার আসনে প্রার্থী দেব আমরা।”

অন্যদিকে, বিধানসভা ভোটে আসন ভাগাভাগি নিয়ে বাম-কংগ্রেস জোটের অন্তিম পর্যায়ের আলোচনা আগামী সপ্তাহে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী সংসদের অধিবেশনের কারণে দিল্লিতে ব্যস্ত রয়েছেন। ব্যস্ততা কমলেই তিনি কলকাতায় এসে সিপিএম তথা বামেদের সঙ্গে এই বৈঠকে বসবেন বলে দলীয় সূত্রের খবর।

পরিকল্পনা অনুসারে, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর দিন এই বৈঠক হতে পারে। বাম নেতৃত্বের কাছেও এই মর্মে বার্তা পৌঁছেছে। এ পর্যন্ত প্রায় দুশোর বেশি আসন নিয়ে উভয় শিবিরের নেতৃত্বের মতৈক্য হয়েছে। আসনওয়াড়ি আলোচনায় এখনও প্রায় শ’খানেক কেন্দ্রের ভবিষ্যৎ ঝুলে রয়েছে। এদিকে, বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে মহাজোট করে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আগেই আগ্রহ দেখিয়েছে আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। ওইদিন আলোচনায় উঠে আসতে পারে আব্বাসকে নিয়ে জোটের প্রসঙ্গ।

 

Previous articleস্কুল খুললেও এখনই বাড়ছে না ফি!
Next articleকলকাতায় আকাশছোঁয়া দাম পেট্রল-ডিজেলের! মাথায় হাত মধ্যবিত্তের