সংরক্ষণ করতে হবে ‘বিরাট’কে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

কার্গিল যুদ্ধের প্রধান যোদ্ধা ‘আইএন এস বিরাট’কে ভেঙ্গে ফেলা চলবে না। এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ৩০ বছরের ঐতিহাসিক যাত্রা শেষে বিরাটকে ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। ঐতিহাসিক এই রণতরীকে ভেঙে ফেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল গুজরাটের শ্রী রাম গ্রুপকে। ভাঙার কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আপাতত এই কাজে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালে মুম্বইয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছিল আইএনএস বিক্রান্ত। কিন্তু বিরাট-কে সংরক্ষণ করার দাবি ওঠে একাধিক তরফ থেকে।  আইএনএস বিরাটের ক্ষেত্রে প্রথমে সংরক্ষণের কথা উঠে এলেও নানারকম টালবাহানার পর কার্গিল নায়ককে ভেঙে ফেলার দায়িত্ব নেয় শ্রী রাম গ্রুপ। আসতে আসতে চলছিল বিরাট ভাঙার কাজও। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে একটি ফার্মের পিটিশনের ভিত্তিতে আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

১০০ কোটি টাকায় ওই ঐতিহাসিক রণতরীটি কিনতে চেয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে একটি সংস্থা। তারাই  সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা দিয়ে বিরাট ভেঙ্গে ফেলায় স্থগিতাদেশ চায়। । সেই সাপেক্ষেই স্থগিতাদেশ জারি করে বিরাটের বর্তমান মালিককে নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পিটিশন দাখিল করে ওই সংস্থা জানিয়েছে, ১০০ কোটি টাকায় বিরাট কিনে তাকে একটি সংগ্রহশালায় পরিণত করতে চায় তারা। ১৯৫৯ সালে প্রথম ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির অন্তর্ভুক্ত হয় আইএনএস বিরাট। সেই থেকে যুদ্ধ শুরু এই রণতরীর। । ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে করাচি বন্দরের উপর কড়া নজরদারি চালিয়েছে এই রণতরী। সমুদ্রে অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে ভারতের জল সীমানা রক্ষা করেছে ৩০ বছর। এই রণতরী ভারতের জাতীয় পতাকা নিয়ে সমুদ্রে কাটিয়েছে প্রায় ২,২৫২ দিন। যার যাত্রাপথ ১০ লক্ষ ৯৪ হাজার ২১৩ কিলোমিটার।

Advt

Previous articleস্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রেট চার্ট বাড়ালো রাজ্য সরকার
Next articleফের প্রশ্নের মুখে যোগী সরকার, দুষ্কৃতীদের হাতে খুন কনস্টেবল