বাঙালিকে ‘সাবধান’ করতে ময়দানে বাংলা পক্ষ। সংগঠনের পক্ষ থেকে শনিবার বিকেলে ঠাকুরনগর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। তাদের দাবি, বাঙালির থেকে ভোট নিয়েই বাঙালিকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বাংলা পক্ষ আরও জানাচ্ছে, এক কাজ করতে গেরুয়া শিবিরের ব্রহ্মাস্ত্র নাগরিকত্ব আইন।

কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কৌশিক মাইতি বলেছেন , “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাঙালিকে কাঙালি, উইপোকা বলা গুজরাটি অমিত শাহ ভারতের মাটিতে বাঙালিকে রাষ্ট্রহীন করার চক্রান্ত করেছে, তার নীল নকশা ফাঁস হয়েছে ১১ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরনগরের মাটিতে। যেখানে অমিত শাহ এসে পরিষ্কার বলে গিয়েছে যে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের নিয়মাবলী প্রকাশ করা হবে না। প্রথমে ভয় দেখিয়ে তারপর বাঁচানোর মিথ্যা নাটক করে ২০১৯-এর লোকসভা না, ২০২১-এর বিধানসভা ভোটেও বাঙালির থেকে ভোট নিয়ে বাঙালিকেই ধ্বংস করতে চায়, তা পরিষ্কার।”

আরও পড়ুন-রেকর্ড সময়ে উদ্ধার ১,২০০ ফোন, নজির গড়ল চন্দননগর পুলিশ

বাংলাপক্ষ জানাচ্ছে , ‘১৬ অক্টোবর ২০১৯-এ, সিএএ আইন পাশ হওয়ার আগে ঠিক একই স্থানে বাংলা পক্ষ সভা করে। সেই সভায় বাংলা পক্ষর নেতৃত্ব কমিটির সদস্য গর্গ চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক মাইতি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ঠাকুরনগরের মানুষকে জানিয়ে দেয় সেই সত্যগুলি যা আজ আসাম, ত্রিপুরা, বাংলা সহ সারা ভারতের বাঙালির কাছে জলের মত পরিষ্কার। সিএএ আইনে কোথাও ১৯৭১-এর পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু বাঙালির নাগরকিত্বের গ্যারান্টি থাকবে না। নাগরকিত্বের জন্য আবেদন করা যাবে শুধু। নাগরিকত্বের এই আশ্বাস যে ভুয়ো, তার জন্য বাংলা পক্ষ চ্যালেঞ্জ করে যে আইনের পাশের ১ মাসের মধ্যে আবেদনকারীদের এই ‘নতুন’ নাগরিকত্ব দিতে হবে। বিনা শর্তে ও অবিলম্বে নাগরিকত্ব দেওয়ার মত আইন চাই, নাহলে তা অর্থহীন শুধু হয়, ভয়ঙ্কর।’


বাংলা পক্ষর তরফে কৌশিক মাইতি আরও জানিয়েছেন, ‘২ বছর পর বাংলা পক্ষর সেই ভবিষ্যৎবাণী অক্ষরে অক্ষরে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। ২০১৯-এ সভার দিন বাংলা পক্ষর নাম ব্যাপক মিথ্যা প্রচার সহ সভা চলাকালীন বারংবার মেরে ফেলার হুমকি, মাইকের তার কেটে দেওয়া, সভা পন্ড করার নানা চক্রান্ত উপেক্ষা করে বাংলা পক্ষ বাংলা ও বাঙালির শত্রু বিজেপির এই মিথ্যা সবার সামনে প্রকাশ করে দেয়। যার ফলে মতুয়া সম্প্রদায় তথা বাকি সব বাঙালির মাঝে বিজেপি ও তার দালালরা এনআরসি ও সিএএ নিয়ে কিছু বলা বন্ধ করে দেয়।’

