এবার বামেদের মুখেও “খেলা হবে”, কান্তির হাতিয়ার মানুষের দাবি

বিধানসভা ভোটে (Election) আগে বাকি এখনও কয়েক মাস। তার আগেই বাংলা রাজনীতি (Politics) এখন ছেয়ে গিয়েছে দুটি শব্দে। প্রতিবেশী দেশ থেকে আগত শব্দবন্ধটি বাংলার (Bengal) আনাচেকানাচে। একে অন্যের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছেন রাজনৈতিক নেতারা। ‘খেলা হবে’ মাত্র দু’টি শব্দ, আর তাতেই তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে বঙ্গ রাজনীতি। জনপ্রিয়তা লাভ করতে শুরু করেছিল তৃণমূলের (TMC) দাপুটে নেতা বীরভূমের (Birbhum) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) বক্তব্যের পর থেকে। তারপর তা হাতিয়ার করে নিয়েছেন বিজেপি, কংগ্রেস থেকে শুরু করে এখন বামেরাও। যদিও বামের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কটাক্ষ করা হয়েছিল ‘খেলা হবে’ শব্দবন্ধটির প্রতি। কিন্তু প্রত্যেক দল যখন ‘খেলা’ নিয়ে ব্যস্ত তখন বামেরাইবা বাদ যাবেন কেন। বাম (Left) ছাত্র সংগঠনের নবান্ন অভিযান এবং সম্প্রতি কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Kanti Ganguly) সভাতেও শোনা গেল এই শব্দটি। কান্তিও বললেন ‘খেলা হবে’।

রায়দিঘিতে সিপিআইএম (CPM)-এর সভা থেকে ‘খেলা’ হওয়ার ডাক দিলেন বর্ষীয়ান নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। আজ বিকাল ৩ টে নাগাদ বাংলায় ‘পরিবর্তনের ডাক’ দিয়ে রায়দিঘি থেকে কোম্পানির ঠেক পর্যন্ত দীর্ঘ ৭ কিমি র‍্যালি বের করে করেছিল বামেরা। র‍্যালিতে ছিলেন প্রায় ১০ হাজার লাল ঝাণ্ডাধারী। র‍্যালির ভিড় দেখে বর্ষীয়ান সিপিআইএম নেতার মুখেও উঠে এল ‘খেলা হবে’ শ্লোগান। তিনি বলেন, “এখন তো শুধু খেলা হবে , খেলা হবে। আমরা এমন খেলা খেলতে চাই আমফানের চাল চোর, ত্রিপল চোর যেন জেলে যায়। আমাদের খেলা হবে মানুষের দাবি নিয়ে। আমরা খেলতে চাই।”

এই শ্লোগানের ব্যাপারে বামেরা অবশ্য আরও এক কাঠি ওপরে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা যখন স্লোগানটিকে মঞ্চের মধ্যে আবদ্ধ করে রেখেছিলেন, তখন বাম ছাত্র সংগঠন মাঠে নেমে আদপেই খেলা দেখিয়েছেন ফুটবল পায়ে নিয়ে। সে ১২ ঘণ্টার বন্ধ হোক কিংবা নবান্ন অভিযান ফাঁকা রাস্তায় নিজেদের মধ্যে খেলেছেন তারা ফুটবল। যদিও স্রোতে গা ভাসিয়ে তারা কতদূর যেতে পারবেন সেটা বলবে সময়ই। বামেদের পাশাপাশি তৃণমূলের নেতা নেত্রীদেরও দেখা গিয়েছে সম্প্রতি খেলার কোর্টে। শনিবার নিজের টুইটার হ্যান্ডলে অভিনেতা-বিধায়ক চিরঞ্জিতের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন কাকলি। সেই ছবিতে দেখা যায়, র‍্যাকেট হাতে ব্যাটমিন্টন কোর্টে চিরঞ্জিৎ-কাকলি। নেত্রী লিখেছেন “খেলা হবে”। কিন্তু এক খেলা হবে শব্দ জোড়ার স্রষ্টা কে? জানা গিয়েছে, শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগের নেতা তথা বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের বিধায়ক শামিম ওসমানই প্রথম ‘খেলা হবে’ শব্দবন্ধ জনপ্রিয় করে তোলেন। এরপর এপার বাংলায় শুভেন্দু অধিকারী শব্দজোড় আধার নিল পরবর্তীকালে তার জনপ্রিয়তা লাভ করে অনুব্রত মণ্ডলের স্বভাবসিদ্ধ বক্তব্যের পর থেকেই।

আরও পড়ুন: ‘সেনার মনোবল ভাঙছে সরকার’, সীমান্ত ইস্যুতে মোদিকে তোপ প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

 

Advt

 

Previous articleগ্রাম ছাড়ার ফতোয়া দিল সন্ত্রাসবাদীরা, আতঙ্ক মণিপুরে
Next articleশুক্রবারের পর ফের আজ কম্পন অনুভূত ভারতের এই রাজ্যে