কুণাল-শওকতের পদযাত্রায় জনস্রোত: বিজেপিকে ধুয়ে দিল তৃণমূল

দলীয় প্রচারে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মঙ্গলবার ছিল যুযুধান দুই পক্ষ তৃণমূল (Tmc) এবং বিজেপি (Bjp)। আর জনসমাগমে বিজেপিকে অনেকগুলো গোল দিল শাসকদল। এদিন প্রথমে ক্যানিংয়ে পদযাত্রা করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। দীর্ঘ পথের মিছিলে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দলীয় সমর্থকদের পাশাপাশি পা মেলান অনেক স্থানীয় বাসিন্দা। বর্ণাঢ্য-সুসজ্জিত মিছিল দেখতে রাস্তার দুধারে ছিল অগণিত মানুষের উপস্থিতি।

আরও পড়ুন-নির্বাচন কমিশন পরাধীন, চালাচ্ছে বিজেপি’, তীব্র কটাক্ষ অধীর চৌধুরি

পদযাত্রা শেষে জনসভাতে সেই ভিড় প্রতিফলিত হয়। এদিন তৃণমূলের পদযাত্রা এবং জনসভায় মুখপাত্র কুণাল ঘোষের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেলার যুব সভাপতি শওকত আলি (Shaokat Ali), বিশিষ্ট নেতা শক্তি মণ্ডল (Shakti Mandal), বিধায়ক পরেশ দাস (Paresh Das)-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। একই দিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে ছিল বিজেপির সভা। রোড শো করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari)। কিন্তু সেখানে ৫০০০-এর বেশি মানুষ জড়ো করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। অথচ শাসকদলের ছিলেন ২৫ হাজারের বেশি মানুষ।

পথেযাত্রা শেষে জনসভা করেন কুণাল ঘোষ। সেই জনসভা থেকে ভোটের মুখে দল ছেড়ে অন্য দলে যাওয়া নেতা-নেত্রীদের একটিও ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানান কুণাল। এদিন প্রথম থেকেই তিনি ছিলেন আক্রমণাত্মক। কাঁথির অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন কুণাল। বলেন, সপরিবারে সবরকম পদ-ক্ষমতা-সুবিধা নেওয়ার পরে ভোটের মুখে এসে শুভেন্দু অধিকারীর মনে হচ্ছে যে তিনি তৃণমূলে থাকতে পারছেন না। এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee), বৈশালী ডালমিয়া (Boishali Dalmia)-সহ ‘তৎকাল বিজেপি’দের কটাক্ষ করেন তৃণমূলের মুখপাত্র। একই সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্ব শোভন চট্টোপাধ্যায়-বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Shobhan Chatterjee- Boishakhi Banerjee) বিরুদ্ধেও তীব্র শ্লেষ উগরে দেন।

Advt

আরও পড়ুন-‘ডবল ইঞ্জিনে’র সুবিধা বুঝেছে ত্রিপুরা: বিপ্লব, সরকার নয় ‘ডবল চুল্লির শ্মশান’: পাল্টা কুণাল

কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ। একই সঙ্গে বিজেপির চাল সংগ্রহকে রামায়ণের ‘সীতাহরণের’ সঙ্গে তুলনা করে বাংলার মহিলাদের সতর্ক থাকার বার্তা দেন। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসে আজ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। সেই কারণে বাংলার মহিলাদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং শিক্ষার বিষয়টি তিনি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেন। সেই কারণেই বাংলায় কন্যাশ্রী-যুবশ্রী প্রকল্প চালু করা হয়েছে। কিন্তু বিজেপির দলের কাছে মহিলাদের কোন মর্যাদা নেই। সেই কারণে রামকে নিয়ে তাদের মাতামাতি; সীতার বিষয়ে উদাসীন।

 

Previous articleপাহাড়ে গোর্খাদের ক্ষতে প্রলেপের চেষ্টা দিলীপের
Next articleটুলকিট কাণ্ডে জামিন পেলেন পরিবেশকর্মী দিশা রবি