উদ্বেগ বাড়ছে,করোনার নয়া স্ট্রেনে দেশে একদিনে আক্রান্ত ১৩ হাজার ছাড়ালো

দেশজুড়ে যখন ভ্যাকসিন কর্মসূচি চলছে, তখনই প্রকাশ্যে এলো এক ভয়ঙ্কর তথ্য৷ করোনাভাইরাসের (Coronavirus) নয়া স্ট্রেন-এ (New Strain) গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩,৭৪২ জন৷ একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১০৪ জনের৷ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ৩৭ জন৷

ভ্যাকসিন হাতের কাছে থাকলেও করোনা থেকে রেহাই মিলছে না। ফের উদ্বেগ শতগুণ বৃদ্ধি করে আচমকাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নতুনভাবে মাথাচাড়া দিচ্ছে সংক্রমণ। চিন্তা বাড়িয়ে চলেছে করোনার নতুন স্ট্রেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৭৪২ জন এবং একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১০৪ জনের।

মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি যে ৭ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলছে তা ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রককে। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রে ৮১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা সংক্রমণ। যার পড়েই রয়েছে মধ্যপ্রদেশ ৪৩ শতাংশ। এরপর পাঞ্জাব ৩১%, জম্মু ও কাশ্মীর ২২%, ছত্তিশগড় ১৩%, হরিয়ানা ১১ %, দিল্লিতে ৪.৭ % হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ।

আরও পড়ুন-যে কোনও দিন সংসদ ভবন ঘেরাও করতে পারে ৪০ লক্ষ ট্রাক্টর, হুঁশিয়ারি টিকায়েতের

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ফের রাজ্যজুড়ে লকডাউনের ইঙ্গিত দিয়েছেন পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, তার জন্য সমস্ত রাজ্যবাসীকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, “আগামী ৮-১৫ দিন সংক্রমণ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হবে। যদি সংক্রমণ এই বিরাট আকারে বাড়তে থাকে, তা হলে ফের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।”

CSIR-CCMB-র এক রিপোর্ট জানিয়েছে, ভারতে ৭০০০ নয়া স্ট্রেন দেখা গিয়েছে৷ কোনও কোনও স্ট্রেন খুবই ভয়ংকর। এই নয়া স্ট্রেনের দাপটেই মহারাষ্ট্র ও কেরালায় সংক্রমণ বাড়ছে কি’না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ এজন্য ওই দুই রাজ্যে শুরু হয়েছে ‘জিনোম সিকোয়েন্সিং’৷ এই দুই রাজ্য থেকে যথাক্রমে ৮০০ এবং ৯০০ নমুনা এই পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে। ভারতে সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য করোনার নতুন প্রজাতি দায়ী, নাকি অন্য কোনও কারণ আছে তা আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মন্ত্রক সূত্রে খবর। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, এই দুই রাজ্যে নয়া স্ট্রেনের জন্যই যে করোনা বাড়ছে, এমন কোনও তথ্য তারা হাতে পায়নি।

Advt

আরও পড়ুন-গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে টাইগার উডস, পায়ে বড়সড় চোট

ওদিকে দিল্লি প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চের মধ্যে মহারাষ্ট্র, কেরালা, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ থেকে যাঁরা দিল্লিতে আসবেন, তাঁদের নেগেটিভ করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেখাতে হবে।
ওদিকে, নতুন করোনা- স্ট্রেন প্রায় বেহাল করে দিচ্ছে মহারাষ্ট্রকে৷ লাগামছাড়া সংক্রমণে কাঁপছে রাজ্য। এই পরিস্থিতিতেও কিছু মানুষ মাস্ক পরছেন না। মার্শাল নামিয়ে, জরিমানা নিয়ে, লকডাউনের হুমকি দিয়েও তাঁদের নিয়ম মানতে বাধ্য করা যাচ্ছে না। এতে উদ্ধব ঠাকরে সরকার এর ফলে বিপাকে পড়েছে৷
রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় পাঞ্জাবের অমরিন্দর সিং প্রশাসন ১ মার্চ থেকে বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বাড়ির অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ১০০ জন ও বাইরের জমায়েতে সর্বোচ্চ ২০০ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন। এ ছাড়াও বর্তমানে চালু থাকা সব বিধিই বহাল থাকছে।

Previous articleযে কোনও দিন সংসদ ভবন ঘেরাও করতে পারে ৪০ লক্ষ ট্রাক্টর, হুঁশিয়ারি টিকায়েতের
Next articleনব্য, তৎকালদের থেকে বাঁচতে এবার ‘সেভ বেঙ্গল বিজেপি’র ডাক দলের আদি নেতা-কর্মীদের