হঠাৎ সরলো প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর নিরাপত্তা, রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন

আচমকাই প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর(krishnendu Chaudhari) নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেওয়া হলো। বুধবার সকাল থেকে প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে তার তিন সশস্ত্র নিরাপত্তা রক্ষীকে(security) দেখা যায়নি। যা নিয়ে রীতিমতো গুঞ্জন শুরু হয়েছে জেলাজুড়ে। তাহলে কি দলবদলের ইঙ্গিত পেয়েছে তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব।  অথবা অন্য কিছু।

ইংরেজবাজারের তৃণমূল বিধায়ক(TMC MLA) নিহার ঘোষের(Nihar Ghosh) বাড়ি ভাঙচুর, তার ওপর হামলার ঘটনায় প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। সে ব্যাপারে কি কোমর কষছে রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসন। তাহলে কি এই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলার বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত আইনি ব্যবস্থার পথে এগোচ্ছে পুলিশ ও প্রশাসন এরকমও ইঙ্গিত মিলছে বিশেষ একটি সূত্র থেকে।

দীর্ঘদিন ইংরেজবাজার পুরসভার  চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলেছেন কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। তিনি রাজ্যের পর্যটন ও উদ্যানপালন দপ্তরের মন্ত্রীর পদ সামলেছেন। বর্তমানে তৃণমূলের জেলার চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন কৃষ্ণেন্দুবাবু । দীর্ঘদিনের মালদার বর্ষিয়ান নেতা হিসাবেও পরিচিত তিনি। তাই হঠাৎ করে তার সশস্ত্র নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেওয়ার বিষয় নিয়ে এখন  রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।

বলাবাহুল্য, মঙ্গলবার দুপুরে বিধানসভা নির্বাচনের ঘোষণার আগেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। এমনকি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া অভিযুক্তদের ধরপাকড় শুরু করেছে জেলা পুলিশ। এই ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর নিরাপত্তারক্ষী সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তারপরেই এখন জেলার বিভিন্ন মহলে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে।জেলার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই পরিস্থিতি প্রাক্তন মন্ত্রী দলবদল অথবা জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হওয়ার জন্য গ্রেপ্তারের ইঙ্গিত দিচ্ছে। যদিও এখনও সবটাই ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে।

যদিও এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে আমি একটি দলীয় কাজে বেরিয়েছিলাম। তখন আমার সঙ্গে তিনজন সশস্ত্র নিরাপত্তা রক্ষী ছিলো। তাদের একজনের কাছে ফোন আসে যে আমার নাকি নিরাপত্তারক্ষী ক্লোজ করা হয়েছে। তাদেরকে চলে যেতে বলা হয়। এরপরই নিরাপত্তারক্ষীদের একজন আমাকে একথা বলে। আমি তাদের চলে যেতে বলি। হঠাৎ করে কেন নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়া হলো সে ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।

কৃষ্ণেন্দুবাবু আরও বলেন, প্রয়াত  প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর আমল থেকেই আমি একজন সশস্ত্র নিরাপত্তা রক্ষী পেয়েছিলাম। তারপর থেকে ধীরে ধীরে আমার নিরাপত্তারক্ষী সংখ্যা বেড়েছিলো। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিরাপত্তারক্ষীরা আমার সাথে থাকতেন। এখন কি কারণে হঠাৎ করে নিরাপত্তারক্ষীদের ক্লোজ করা হলো, আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। পুরো বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি।

আরও পড়ুন:ভোটের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন

Advt

Previous articleভোটের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন
Next articleঅভিযোগ প্রমাণিত হলে ৭ বছরের জেল হতে পারে নাসির-তামিমার