বাংলার পুনর্নির্মাণ, সংস্কৃতির রক্ষা ও শিল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্রিগেড মাতালেন মোদি

একেবারে সাজানো মঞ্চ। সামনে বিশাল সমর্থকের ভিড়। রবিবারের ব্রিগেডে(brigade) একটু বেলা করেই মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধান বক্তা নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। তবে মঞ্চে একেবারে চেনা ছকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর তোপ দাগলেন তিনি। পাশাপাশি বঙ্গবাসীকে স্বপ্ন দেখালেন আসল পরিবর্তনের বাংলার। প্রতিশ্রুতি দিলেন বাংলায় আসল পরিবর্তনের লক্ষ্য হলো, বাংলার পুনর্নির্মাণ, সংস্কৃতির রক্ষা ও শিল্পের তৈরির।

রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চে উপস্থিত হয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘বাংলা তথা কলকাতার ভাই-বোনদের প্রণাম। আমার রাজনৈতিক জীবনে কয়েকশ সভা করেছি কিন্তু এত বড় জন সমাবেশ দেখার সৌভাগ্য হয়নি।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে এই ঐতিহাসিক ব্রিগেড ময়দানে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। বাংলা আজ গোটা ভারতের প্রেরণা ভূমি। গত দশকে ব্রিগেডে বহুবার স্লোগান উঠেছে ব্রিগেড চলো। কিন্তু এই ব্রিগেড উন্নয়নে বাধা দেওয়ারও সাক্ষী। ধর্মঘটের নীতি নির্ধারণের সাক্ষীও এই ব্রিগেড। কিন্তু বাংলার মানুষ পরিবর্তনের আশা ছাড়েনি। সেই আশায় মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) উপর ভরসা করেছিলেন। কিন্তু মানুষের বিশ্বাস ভেঙেছেন মমতা।’

পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘এই বাংলার মাটি আমাদের সংস্কার তুলে ধরেছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রেরণা যুগিয়েছে। বাংলার মনীষীরা এক ভারত ও শক্তিশালী ভারত গড়তে সাহায্য করেছেন। অথচ এই বাংলায় আজ মা বোনদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। দীর্ঘ অপশাসন অত্যাচারের পর আজ মানুষের ইচ্ছাশক্তি ভাঙেনি। আজকের এই সমাবেশ তার সাক্ষী। বাংলা চায় উন্নতি, শান্তি, প্রগতিশীল বাংলা, সোনার বাংলা। এবারের ভোটে একদিকে তৃণমূল, বাম-কংগ্রস ও তাদের বাংলা বিরোধী কাজ। আর অন্যদিকে বাংলার মানুষ কোমর কষে তৈরি হয়েছে। সব ক্ষেত্রের মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ করছেন। সবার একটাই ইচ্ছা বাংলাকে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দেওয়া।’ পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, ‘সোনার বাংলার সংকল্প নিশ্চয় পূরণ হবে। আসল পরিবর্তনের জন্য মানুষ আজ ব্রিগেডে এসেছেন। এই ব্রিগেড থেকে আমি আসল পরিবর্তনে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। বাংলার পুনর্নির্মাণ, সংস্কৃতির রক্ষা, শিল্প তৈরির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। বাংলার মানুষের উন্নতির জন্য ২৪ ঘণ্টা কাজ করব। প্রতি মুহূর্তে আপনাদের জন্য বাঁচব, আপনাদের সেবা করব। প্রতি মুহূর্তে কাজের মধ্যে দিয়ে আপনাদের মন জিতব।’

আরও পড়ুন:অপারেশন থিয়েটরেই ভিডিও কল মারফত আদালতে হাজিরা ডাক্তারের, স্তম্বিত বিচারক

পাশাপাশি এদিনের জনসভা থেকে একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরো বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় শিক্ষা নীতি বাংলায় প্রণয়ন করা হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি বাংলা ভাষায় পড়ানো হবে। প্রান্তিক পড়ুয়ারা ইংরেজি না জানলেও ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি পড়তে পারবে।’ তিনি আরো জানিয়েছেন, ‘বিজেপির সরকার তৈরির পর ঝুপড়িবাসীদের পাকা বাড়ি দেওয়া হবে। অন্যান্য শহরেরও আত্মনির্ভর ভারত গঠনের সম্ভাবনা আছে। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে যুব সমাজ থেকে বয়স্কদের জন্যও আনা হবে প্রকল্প। আসল পরিবর্তনের জন্য পঞ্চায়েত স্তরেও উন্নয়ন প্রয়োজন। বাংলায় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা শেষ করা দেওয়া হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এসে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা পুনরায় গড়ে তোলা হবে।’ সব শেষে প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, ‘বাংলার মানুষের সঙ্গে বারবার ছলনা করা হয়েছে। স্বাধীনতার পরে কংগ্রেস ক্ষমতায় এসে কিছুটা কাজ করেছিল তারপর হয় ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি।’

Advt

Previous articleপ্রকাশিত হল আইপিএলের দিনক্ষণ, ৯ এপ্রিল থেকে শুরু দেশের এক নম্বর ক্রিকেট লিগ
Next articleলর্ডস থেকে সরতে পারে বিশ্ব টেস্ট চ‍্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম‍্যাচ