নেই অঝোর বৃষ্টি-শীতের হাড়কাঁপানো ঠান্ডা, বসন্তের বার্তা দিল Google Doodle

ফাল্গুনের হাত ধরেই বাংলার প্রকৃতিতে আসে বসন্ত। শীতকালে ঝরে পড়া পাতার ফাঁকা জায়গা পূরণ করতে গাছে গাছে আবার গজায় নতুন পাতা। শোনা যায় কোকিলের কুহু ডাক। ফুলে ফুলে ভরে যায় গাছগাছালি। চারিদিকে শুধু ফুলের গন্ধ। নেই অঝোর বৃষ্টি, নেই শীতের হাড়কাঁপানো ঠান্ডা, না আছে গ্রীষ্মের দাবদাহ। তাই বসন্তকালকে অপেক্ষাকৃত মনোরম বলে ধরা হয়। আর তাই বসন্তকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতির পাশাপাশি রঙ্গিন সাজে বর্ণিল উৎসবে মেতে উঠে বাঙালি।

“আহা, আজি এ বসন্তে এত ফুল ফুটে, এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়, সখীর হৃদয় কুসুম-কোমল…”। আজ ২০ মার্চ শনিবার Google Doodle উত্তর গোলার্ধে ২০২১ এর বসন্তের শুরু উদযাপন করল। ভারতে বসন্ত এল, ডুডলের মাধ্যমে তারই বার্তা দিল গুগল। বসন্তে দিন এবং রাত প্রায় ১২ ঘণ্টা সমান সমান দীর্ঘ হয়। যত দিন এগোতে থাকে ততই ধীরে ধীরে দিনের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি এবং রাতের সময়ের দৈর্ঘ্য হ্রাস পায়। ২০ মার্চ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত বসন্তকাল।

আরও পড়ুন-‘টুম্পা সোনা’ থেকে শুরু এবার জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইনকে প্রচারে ব্যবহার বামেদের

উষ্ণমন্ডলীয় এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের জলবায়ু অনুযায়ী এই মরসুম অন্য সব কটি মরসুমের থেকে বেশি ভালো বলে মত আবহাওয়াবিদদের। জাঁকজমক ভাবে পালিত হয় দোলযাত্রা। অসমবাসীদের বিহু উৎসব পালিত হয় বসন্তকালে। যদিও বঙ্গভূমিতে বসন্তের আগমন বেশ আগেই হয়ে যায়। বসন্তকালকে ‘ঋতুরাজ’ বলেও অভিহিত করা হয়। এই সময়ে বিশেষ যে ফুলগুলি দেখতে পাওয়া যায় তা হল কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, অশোক, পলাশ, মহুয়া, রুদ্রপলাশ, শিমূল, হিমঝুরি, ইউক্যালিপটাস ইত্যাদি।

 

Advt

Previous article‘হুইল চেয়ারে বসে পা দেখাচ্ছেন দিদি’, খড়্গপুরে বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপের
Next articleধোনির রেকর্ড স্পর্শ করলেন আসগর