ভোটের দিনে মোদির সভার বিরোধিতায় সোচ্চার বিরোধীরা, আইনি দিক খতিয়ে দেখছে কমিশন

রাজ্যে ৮ দফা ভোট প্রচারে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের গোটা ক্যাবিনেট এখন “ডেইলি প্যাসেঞ্জার”! বিশেষ করে ভোটের দিনগুলিতে জনসভা করছেন রাজ্যের কোথাও না কোথাও। এবং ওইদিন যে কেন্দ্রগুলোতে ভোট হচ্ছে, সেই কেন্দ্রগুলির নাম করে প্রচার করছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। অভিযোগ, ভোটের দিন মোদির ভাষণ টেলিভিশন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় তা দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট ভোটার প্রভাবিত করা হতে পারে।

এই যেমন পয়লা এপ্রিল নন্দীগ্রাম(Nandigram)-সহ ৩০টি কেন্দ্রে যখন ভোট চলছে, ঠিক তখন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে নির্বাচনী ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী (PM)। এবং সেই সভা থেকে “নন্দীগ্রামে দিদি হারছেন” বলে আওয়াজ তুলছেন। এর ফলে টেলিভিশনে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় তা দেখে ভোটারদের মনে প্রভাব পড়তে পারে। কারণ, তখনও ভোট শেষ হয়নি।

আরও পড়ুন-মোদি-শাহ-শুভেন্দুর “এক্সিট পোল” ফলস? নন্দীগ্রাম বলছে জিতছে দিদি

এমনই নির্বাচনী আচরণ বিধি (MCC) ভঙ্গের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তুলে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল(TMC)-সহ বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সূত্রের খবর, এনিয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন কমিশনের আধিকারিকরা।

গত বৃহস্পতিবার ভোটের দিন নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অভিযোগ করেছিলেন, নির্বাচনের দিন সভা করে প্রধানমন্ত্রী আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন। প্রভাবিত করছেন ভোটারদের। এই অভিযোগই নির্বাচন কমিশনে করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। আর একটি অভিযোগ গিয়েছে সংযুক্ত মোর্চার তরফে। তারাও মোদির বাংলাদেশ সফর টেনেছে। সংযুক্ত মোর্চার দাবি, বাংলাদেশের হিন্দু মন্দিরে পুজোপাঠ ও একটি সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়ে বিধি ভঙ্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি ভোটের দিন জয়নগর ও উলুবেড়িয়ার সভায় ধর্মীয় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগও করেছে তারা।

Advt

Previous articleমোদি-শাহ-শুভেন্দুর “এক্সিট পোল” ফলস? নন্দীগ্রাম বলছে জিতছে দিদি
Next articleমাস্ক ছাড়া মেট্রোতে? হতে পারে জরিমানা, করোনা আবহে কড়া মেট্রো কর্তৃপক্ষ