করোনা মোকাবিলায় দক্ষিণের তিন রাজ্যে পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা

দেশের করোনা (COVID) পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ভেঙে দিয়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। এদিকে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের হার। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। এমতাবস্থায় সংক্রমণ ঠেকাতে পূর্ণ লকডাউনের পথ বেছে নিয়েছে দক্ষিণের তিন রাজ্য- কেরালা, কর্ণাটক ও তামিলনাড়ু। শনিবার সকাল থেকেই কেরালায় লকডাউন শুরু হয়েছে। চলবে ১৬ মে পর্যন্ত। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের কথায় পূর্ণ লকডাউনেই সংক্রমণে লাগাম দেওয়া যাবে। তবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য-এর দোকান খোলা রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন:‘আমার পদত্যাগ নিয়ে কিছু বলা হলে, তা আজগুবি গল্প’, জল্পনা ওড়ালেন বিমান বসু

অন্যদিকে কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুতে সোমবার থেকে লকডাউন শুরু হবে। ২৪ পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে বলে জানিয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা। তিনি জনিয়েছেন,রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হলেও তা করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে রুখতে সক্ষম হয়নি। তাই পূর্ণ লকডাউনের পথ বেছে নিয়েছে কর্ণাটক সরকার। ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের’ দোকানগুলিতে লকডাউন বিধি জারি থাকবে না। তবে সেগুলি কেবলমাত্র সকাল ৬ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তারপর আর কেউ রাস্তায় বেরোতে পারবে না। সেইসঙ্গে তিনি পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন ‘এটা সাময়িক পূর্ণ লকডাউন।তাই পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি আমার আবেদন তাঁরা যেন বাড়ি ফিরে না যান’।
করোনা সংক্রমণের রাশ টানতে পূর্ণ লকডাউনের পথ বেছে নিল স্টালিন সরকারও। শনিবার সরকারে তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে ‘অনিবার্য পরিস্থিতি’তে সম্পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আগামী সোমবার, ১০ মে থেকে লকডাউন শুরু হবে। চলবে ২৪ মে পর্যন্ত।
অবশ্য পূর্ণ লকডাউনের মধ্যেও ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’-এর বাজার অর্থ্যাৎ মুদিখানা, সব্জি, মাছ, মাংসের দোকান ১২টা অবধি খোলা রাখা যাবে।রেস্তরাঁগুলি থেকে শুধু মাত্র হোম ডেলিভারি করা যাবে। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তরা কাজে যেতে পারবেন। বাকিদের বাড়ি থেকেই কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advt

Previous article‘আমার পদত্যাগ নিয়ে কিছু বলা হলে, তা আজগুবি গল্প’, জল্পনা ওড়ালেন বিমান বসু
Next articleকোভিড টেস্ট করাতে ‘দুয়ারে পুরসভা’, এক ফোনেই মিলবে পরিষেবা