ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণে দিলীপের ডাকা বৈঠক এড়াচ্ছেন দলবদলু থেকে হেরো প্রার্থীরা

সদ্য সমাপ্ত বাংলার একুশের হাইভোল্টেজ বিধানসভা ভোট (West Bengal Assembly Election) নজিরবিহীন আট দফার এই ম্যারাথন ভোট নিয়ে তাবড় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও নেতাদের অনুমান ডাহা ফেল। এদিকে বিজেপি (BJP) ক্ষমতায় আসবে ধরে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit sha) থেকে শুরু করে অর্ধেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য, বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডেইলি প্যাসেঞ্জার হয়ে প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন। শুধু তাই নয়, এ রাজ্য থেকে নির্বাচিত চার লোকসভার সাংসদ (MP) ও রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ পর্যন্ত রাজ্যের মন্ত্রী হওয়ার বাসনায় ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিলেন। তিন হেরেছেন, বাকি দু’জন জেতার পর ইস্তফা দিয়েছেন। আবার বিজেপির অনেক স্বঘোষিত “হেভিওয়েট” মুখ থুবড়ে পড়েছেন।

কমপক্ষে ২০০ আসন নিয়ে দল ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখিয়েছিল। অচিরেই সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। ২০০ তো দূরের কথা প্রশান্ত কিশোরের(PK) দাবি মতো ডাবল ডিজিট পার করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। আপাতত ফলাফল নিয়ে চলছে কাটাছেড়া। দলের ভরাডুবি নিয়ে চলছে দলীয় তদন্ত। সবমিলিয়ে রাজ্য বিজেপির অন্দরে তোলপাড়।

ভোটের আগে থেকে যাঁরা লাফালাফি করছিলেন সবচেয়ে বেশি, গণনার পর তাঁদের অনেকেই বেপাত্তা। ভোটের আগে বিজেপির অট্টালিকা সম হেস্টিংস দদফতরে হইহই ব্যাপার ছিল, এখন সেখানে ধুপ দেওয়ার লোক পর্যন্ত নেই। ভোটের ফলাফল পর্যালোচনায় রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্বের ডাকা বৈঠকেও সাড়া দিচ্ছেন না অনেকে। বিশেষ করে ভোটের আগে দলবদলু পরাজিত অনেক প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ পর্যন্ত করা যাচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে রাজ্য বিজেপি সূত্রে। কারও মোবাইলে সুইচ অফ তো কেউ ফোন তুলছেন না নেতাদের।

বিভিন্ন জেলার পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য বিজেপির হেস্টিংস দফতরে ডাকা বৈঠকে উপস্থিতির হার ছিল নগন্য। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এবং বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।বৈঠকে ডেকেছিলেন। কিন্তু সেখানে দলের প্রথম সারির অধিকাংশ নেতা এবং পদাধিকারীরা গরহাজির ছিলেন।

জানা গিয়েছে বঙ্গ বিজেপির পাঁচজন সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছলেন মাত্র ২ জন। সায়ন্তন বসু এবং সঞ্জয় সিং। অনুপস্থিত ছিলেন জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, রথীন বসু, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। এছাড়াও অনুপস্থিতির তালিকায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত, ভারতী ঘোষরা। এঁরা প্রত্যেকেই হেরেছেন।

আরও পড়ুন- অফিস যাত্রীদের বাড়ি ফেরাতে শনিবার বিকেল থেকে ১০০ টি অতিরিক্ত বাস নামাল নবান্ন

জয়-পরাজয় হতেই পারে, কিন্তু দলের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে শীর্ষ নেতৃত্বের ডাকা বৈঠক এভাবে এড়িয়ে যাওয়ার কারণ কী? অনেকেই বিষয়টিকে কোভিড পরিস্থিতি বলে ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করলেও রাজ্য বিজেপির অন্দরে অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। দলের একটা বড় অংশ ও আদি বিজেপির অনেকেরই দাবি, নেতাদের অনেকেই দলে এসেছিলেন শুধু বিধায়ক কিংবা মন্ত্রী হতে। ভোটে হেরে যাওয়ার পর তারা বেপাত্তা। আসলে এই সকল নেতা-নেত্রীরা ধান্দাবাজ, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই এমন দাবি করছেন।

আরও পড়ুন- আগামী ১৫ দিন দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, দাপট কমছে করোনার, দাবি কেন্দ্রের

Advt

 

Previous articleআগামিকাল থেকে বন্ধ থাকবে টালিগঞ্জের প্রতিটি সিরিয়ালের শুটিং
Next articleঅতিরিক্ত মাছ ধরা রুখতে এবার এগিয়ে এলেন জেজে