শেষ ৫ বছরে ২৪টি ঘূর্ণিঝড়, এবার হিমায়নের আশঙ্কার কথা শোনালেন আবহাওয়াবিদ

শেষ পাঁচ বছরে ২৪টি ঘূর্ণিঝড়। আর এর কারণ বিশ্ব উষ্ণায়ন।উষ্ণায়নের ফলে সারা পৃথিবীতেই আবহাওয়ার এমন তাণ্ডব। এমনই অশনি সঙ্কেতের কথা শোনালেন আবহাওয়াবিদ সুজীব কর। তাঁর স্পষ্ট কথা, উষ্ণায়ন নয়, আসছে হিমায়ন। আর যশের মতো ঘূর্ণিঝড় আগামিদিনে আরও হবে।

সুজীবের বক্তব্য, বিশ্বের জলচক্রের ওপর নির্ভর করে সমুদ্র, নদী, খাল, বিল, পুকুর। এরসঙ্গে গাছপালাও যুক্ত। আর বিশ্ব উষ্ণায়ন জলচক্রের গতিবেগে বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে মেরু অঞ্চলে, পার্বত্য হিমালয়ের বরফ গলে যাচ্ছে অর্থাৎ জলের পরিমানকে জলচক্র বাড়িয়ে তুলছে। আর এই জলের পরিমান বেড়ে যাওয়ার ফলে ভূমির পরিমান কমে যাচ্ছে!। এর দরুন জলের সক্রিয়তা বেড়ে যাচ্ছে। তখন জলের উষ্ণতা বেড়ে যে নিম্নচাপ তৈরি করছে সেটা ভূমিভাগে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়।জলভাগে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি তখন আবহাওয়ার পরিমণ্ডলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভেপার অর্থাৎ ভাপ নির্গত করতে থাকে, যেটা আবহাওয়ার পরিমণ্ডলের নেওয়ার ক্ষমতার থেকে অনেক বেশি। অর্থাৎ অতিরিক্ত পরিমানে ভেপার পরিমণ্ডলে চলে আসে। যাকে ভূগোলের ভাষায় বলা হয় ‘ইনক্রিজ অফ ভেপার প্রেসার’। এই প্রক্রিয়াই অতি দ্রুত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে যায়।

এরজন্যই সাইক্লোনের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানালেন আবহাওয়াবিদ সুজীব কর। তাঁর কথায় এই সংখ্যা উত্তরোত্তর পৃথিবীতে আরও বাড়বে। উষ্ণায়নের অন্যতম প্রভাব হলো হিমায়ন। অর্থাৎ এর পরিণতি তুষার যুগে ঢুকে পড়া। জলের পরিমান বাড়বে, ভূমিভাগ পর্যাপ্ত পরিমান উষ্ণতা পাবে না অথচ ভূমিভাগ থেকে উষ্ণতা নির্গত হবে। এর ফলে ধীরে ধীরে মানুষ শীতল পরিমণ্ডলে ঢুকে পড়বে।

আর এর ফলে নেমে আসবে হিমযুগ। আর এই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানালেন সুজীব। অর্থাৎ আর বিশ্ব উষ্ণায়ন নয় মানুষ এগিয়ে চলেছে বিশ্ব হিমায়নের পথে। পৃথিবীতে মানুষ সবথেকে পরে এসেছে, কিন্তু এর প্রভাবে মানুষকে সবথেকে আগে বিলীন হয়ে যেতে হবে বলে সুজীব করের স্পষ্ট কথা।

আরও পড়ুন:নজির গড়লেন লেয়নডস্কি, ভেঙে দিলেন কিংবদন্তি মুলারের রেকর্ড

 

Advt

 

Previous articleনজির গড়লেন লেয়নডস্কি, ভেঙে দিলেন কিংবদন্তি মুলারের রেকর্ড
Next article‘কুমিরেরা নির্দোষ’, মোদির কান্নার সঙ্গে কুমিরের তুলনা টানতে নারাজ রাহুল