দুর্যোগ সামলানোয় সরকারি টিমকে ধন্যবাদ, এখন কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতকে গুরুত্ব নয়: মমতা

ছুটির দিনেও কাজ করেছেন সরকারি আধিকারিক থেকে কর্মীরা। ইয়াস (Yaas) মোকাবিলায় যারা যারা কাজ করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Benarjee)। একইসঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের কথা বলতে চাননি তিনি। উল্টো জানিয়েছেন, সবাই একসঙ্গেই এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হচ্ছে।

বিভিন্ন সরকারি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এক কোটির বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ১৪ লক্ষ বাড়ি ভেঙেছে। ১৩৪টি বাঁধ ভেঙেছে। নদী বাঁধ মেরামতের জন্য বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেচ দফতরকে জলাধারের দিকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাঁধ মেরামত কেন্দ্রে সাহায্য করে না। রাজ্যকেই করতে হয়।ভরা কোটালে ঘূর্ণিঝড় বলেই বেশি ক্ষতি বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। রাত ৮.৪৫ পর্যন্ত জোয়ার চলবে। তারপর জলস্তর ক্রমশ নামবে।

১৫ লক্ষের বেশি মানুষকে রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়েছে। ৩ লক্ষেরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু জায়গায় বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। ফলে নোনা জল ঢুকে চাষ এবং মাছচাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ছাড়াও রয়েছে ভরা কোটাল। এর জেরে বৃহস্পতিবারও ৫ ফিট উঁচু থাকবে জলস্তর। কোটালের জেরে কলকাতার বেশ কিছু জায়গা জলমগ্ন। কোটালের সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখার আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী।

জলমগ্ন এলাকায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে নজর দিতে হবে। পরিশ্রুত পানীয় জলের সরবরাহ বজায় রাখতে হবে। লবণাক্ত জমিতে নোনা স্বর্ণ ধান ও নোনা জলের মাছ চাষ পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃষ্টি কমলে হেলিকপ্টারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন মমতা।

Previous articleতোলাবাজিতে কেন রিপাবলিকের সাংবাদিক? জবাব চায় বাংলা
Next articleপ্রবল জলোচ্ছাসের জেরে জঙ্গল থেকে লোকালয়ে বাঘ ঢুকে পড়ল সুন্দরবনে