সুন্দরবনে নদী বাঁধ ভাঙনের আশঙ্কা, মাল্টি পারপাস সাইক্লোন শেল্টার মানুষের ভিড়

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস(YAAS)। আর কয়েক ঘন্টার মধ্যে পারাদ্বীপ ও সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী জায়াগায় তা মহাশক্তি নিয়ে আছড়ে পড়বে। মূলত ওড়িশার বালাসোর, ভদ্রক, বালেশ্বর তা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে ১৮৫ থেকে ১৯০ কিলোমিটার বেগে ওইসব এলাকায় আছড়ে পড়বে ইয়াস।

পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে চলেছে পূর্ব মেদনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলীয় অঞ্চলে। মূলত নদী উপকূলবর্তী সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপে গতকাল থেকেই দমকা হাওয়া ও ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। যেহেতু পূর্ণিমার সঙ্গে আজ ভরা কোটাল, তাই ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে তা মিলে নদীর জলোচ্ছ্বাস বাড়বে। সেক্ষেত্রে আয়লা বা আমফানের মতো ইয়াসের দাপটের ভাঙতে পারে নদী বাঁধ। ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে গ্রাম।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমুদ্র উপকূলবর্তী ত্রাণ শিবির বা
উপকূলীয় একাধিক মাল্টি পারপাস সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। গতকাল, মঙ্গলবার থেকেই স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে সেইসব আশ্রয় শিবিরে লোকজনকে আনা হয়। একই সঙ্গে গবাদি পশুকে সরিয়ে আনা হয়।

ঝড়খালী-৪ নম্বর ব্লকে স্থানীয় মাস্টারপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে মানুষজনকে তুলে সুন্দরবনে মাল্টি পারপাস সাইক্লোন শেল্টার নিয়ে আসা হয়েছে। প্রায় ৭০০ মানুষ সেখানে ঠাঁই নিয়েছেন।

পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, জলের পাউচ, মাস্ক, সানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দু’বেলার রান্না করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। মূলত, প্রান্তিক চাষি, মৎস্যজীবী ও দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী সুন্দরবনের মানুষজন এই ত্রাণ শিবিরগুলিতে রয়েছেন।

আরও পড়ুন- ইয়াস : জলস্তর বাড়ছে নদীর, ১১ জেলায় বন্যার ভ্রুকুটি, আশঙ্কায় নবান্ন

Advt

Previous articleনয়া সিবিআই ডিরেক্টর হলেন সিআইএসএফের প্রধান সুবোধ কুমার জয়সওয়াল
Next articleইয়াস আছড়ে পড়ার কাউন্টডাউন শুরু, দিঘায় ১১০কিমি বেগে প্রবল হাওয়া