রাখে হরি মারে কে! দেহ সৎকারের মুহূর্তে হঠাৎ ‘বেঁচে’ উঠলেন সত্তরোর্ধ্ব পুষ্পা দেবী

শ্মশানে চিতা সাজিয়ে(cremation work) সমস্ত লৌকিক ক্রিয়াকর্ম সম্পন্ন। আর কিছুক্ষণ পরেই মৃতদেহ দাহ করতে চিতায় তোলা হবে মরদেহ। ঠিক সেই মুহূর্তেই শ্মশানে উপস্থিত সকলকে অবাক করে মৃতদেহ উঠে বসল খাটিয়াতে। না কোন গল্প কাহিনী নয়, একেবারে বাস্তব এই ঘটনার সাক্ষী থাকলো পাণ্ডবেশ্বরের নমোপাড়া। ৭০ বছর বয়সী পুষ্পা আচার্য(Pushpa Aacharya) এমন অস্বাভাবিক ভাবে বেঁচে উঠতেই রীতিমত তাজ্জব এলাকাবাসী।

জানা গিয়েছে, আজ থেকে আট মাস আগে পড়ে গিয়ে কোমড় ভেঙে যায় পাণ্ডবেশ্বরের নামো পাড়ার বাসিন্দা পুষ্পা দেবীর। এরপর থেকে কথাবার্তা বলতে পারতেন না তিনি। যদিও ওই মহিলার সেবা-শুশ্রূষা কোনরকম ত্রুটি করেনা তার পরিবার। এরই মাঝে বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে ওই বৃদ্ধার। বৃহস্পতিবার বিকেলে বেশ কয়েকবার হেঁচকি উঠে নিস্তেজ হয়ে পড়েন বছর সত্তরের পুষ্পা দেবী। কোনোরকম সাড়াশব্দ না পাওয়ার পর পরিবারের লোকজন ভেবে নেয় তিনি মারা গিয়েছেন। এরপর রীতিনীতি মেনে শুরু হয় মৃতদেহ সৎকারের প্রস্তুতি। রাত আটটা নাগাদ নিয়ে যাওয়া হয় শ্মশানে।

আরও পড়ুন:‘এই সংঘাত রাজ্যের গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর’, মোদি সাক্ষাতের পর মমতাকে তোপ ধনকড়ের

শ্মশানে দেহ সৎকারের জন্য সমস্ত প্রস্তুতি শেষ করার পর মৃতদেহ চিতায় চাপাতে গিয়ে হঠাৎ পুষ্পা দেবী শরীরের অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেন পরিজনেরা। মরদেহ থেকে আসতে থাকে গোঙানির আওয়াজ। প্রথমে পরিবারের লোকজন ভয় পেলেও, পরিবারের লোকজন বিষয়টি দেখে অবাক হয়ে যান। দেখা যায় শ্বাস পড়তে শুরু করেছে পুষ্পা দেবীর। তড়িঘড়ি চিতা থেকে নামিয়ে দ্রুত দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই বৃদ্ধাকে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে সুস্থ হয়েছেন ওই বৃদ্ধা। এদিকে এই ঘটনায় রীতিমত তাজ্জব গ্রামবাসী। তাদের দাবি, ‘রাখে হরি তো মারে কে?’

Pp

Advt

Previous articleক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, মোদির হাতে ক্ষতির খতিয়ান দিয়ে বললেন, ‘দেখে নেবেন’
Next articleসিবিআই সেজে তোলাবাজি: অভিষেকের হেফাজত থেকে সোনা, টাকা উদ্ধার, গ্রেফতার ১১