কয়লাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের পর আয় বেড়েছে ইসিএলের, পেশ হল রিপোর্ট

কয়লা কাণ্ডে(coal scam) সিবিআই(CBI) তদন্তের জেরে ইসিএলের(ECL) উপর কি কোনওরকম প্রভাব পড়েছে? সম্প্রতি ইসিএলকে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানতে চেয়েছিল সিবিআই। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে এবার রিপোর্ট পেশ করল ইসিএল। নিজেদের পেশ করা রিপোর্টে ইসিএল দাবি করেছে তদন্ত শুরু হওয়ার পর নানান রকম ভাবে উপকৃত হয়েছে এই সংস্থা।

সম্প্রতি সিবিআইয়ের কাছে ইসিএল যে রিপোর্ট পেশ করেছে সেখানে দাবি করা হয়েছে, সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়ার পর কয়লা সরবরাহ অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে। আগে যেটা ৪৬ শতাংশ ছিল বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৭৩ শতাংশ। বেড়েছে কয়লা পাঠানোর পরিমাণও। আগে ৬৩ শতাংশ কয়লা পাঠানো হত বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৯০ শতাংশ। কয়লা বুকিং বেড়েছে ৪৭৮ কোটি টাকার। এই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর সিবিআইয়ের আধিকারিকদের দাবি, তদন্ত শুরু হওয়ার পর কয়লা মাফিয়ারা তাদের কার্যকলাপ বন্ধ করে দিয়েছে আসানসোল রানীগঞ্জ জামুড়িয়ার মত অঞ্চলগুলিতে। অনেকেই এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়েছে গ্রেফতারির ভয়ে। ইসিএলের রিপোর্টের ভিত্তিতে সিবিআইয়ের দাবি, মাফিয়া রাজ বন্ধ হওয়ার পর ইসিএলের ৪৭৮ কোটি টাকার কয়লা সরবরাহ বেড়েছে। শুধু তাই নয়, সিবিআই সূত্রে খবর, পাচারকারীরা গা ঢাকা দেওয়ার পর ইসিএলের কয়লা সরবরাহের পরিমাণ ৭৭৫ কোটি টাকা থেকে ১২৫৩ কোটি হয়েছে।

আরও পড়ুন:‘ঋণের তুলনায় বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে’, নিজেকে ‘জালিয়াত’ মানতে নারাজ মালিয়া

উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতেই কয়লা উত্তোলন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছিল সিবিআই। আর সেই লক্ষ্যেই ৩০ জন সিবিআই অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে গঠন করা হয়েছিল স্পেশাল ৩০ টিম। যে টিম রানীগঞ্জ জামুরিয়া আসানসোলের মত এলাকায় সক্রিয় কয়লা মাফিয়াদের পাকড়াও করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ে। কয়লা কান্ডের তদন্তে নেমে সিবিআই জানায় এ রাজ্যের বিভিন্ন খনি থেকে বেআইনিভাবে কয়লা তুলে উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে পাচার করা হত।

Advt

Previous articleইংল‍্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম‍্যাচের সিরিজে ভারতকে এগিয়ে রাখলেন গাভাসকর
Next articleগোপালপুরে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের ফেরানোর উদ্যোগ নিলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি