কেশপুরের লিফলেট নিয়ে নির্মলার টুইট, করোনাকালে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এমন কাজে নিন্দা

পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে লিফলেট বিতর্কে এবার জলঘোলা করতে নেমে পড়লেন বিজেপির দিল্লির নেতারা। কেশপুরে একটি লিফলেটে কয়েকটি পরিবারকে সাহায্য না করার ডাক দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই লিফলেটের ছবি ভাইরাল হতেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন ঘাটালের সংবাদ দেব। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি খোঁজ নিয়ে দেখেছেন এর সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নেই। দলকে বদনাম করতে কেউ এই কাজ করেছে। তার পরেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন করোনাকালে নতুন করে বিষয়টিকে খুঁচিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে নেমে পড়েছেন।

সাংসদ দেব শুক্রবারই টুইট করে জানিয়ে দেন, তিনি ব্যক্তিগত ভাবে খোঁজ নিয়ে দেখেছেন কেশপুরে ওই লিফলেট তৃণমূলের নাম করে প্রচার করা হলেও এর সঙ্গে দলের কেউ জড়িত নন। সেই সঙ্গে তিনি পাল্টা বার্তা দেন একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা। তাই সবাইকে সবার পাশে থাকতে হবে। যে কাজ তৃণমূল কংগ্রেস গোটা বাংলা জুড়েই করে চলেছে। কার্যত সেই কথাই মনে করিয়ে দেন দেব।

দেবের মতো দায়িত্বশীল একজন সাংসদ যখন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন এই কাজের সঙ্গে দলের কেউ জড়িত নয়, তখন স্বাভাবিক ভাবেই এটা বলা যায় ভোটের হার হজম না হওয়া বিজেপি যে ভাবে নানা ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস বা রাজ্য সরকারকে প্যাঁচে ফেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত রয়েছে।

ভোটে হেরে এমনিতে বিজেপির নেতারাই বার বার একে অন্যের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলছেন, কর্মীদের পাশে থাকছেন না কেউ। সেই সব অভিযোগ থেকে নজর ঘোরাতেই কী তাহলে পরিকল্পনা করে প্রথমে লিফলেট বিলি এবং পরে সেই ইস্যুতে দিল্লির নেতাদের ঝাঁপিয়ে পড়া? কারণ গোটা রাজ্যের মানুষ দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সব স্তরের নেতা কর্মীরা এই অতিমারীর সময় কী ভাবে রাজ্যের মানুষের পাশে রয়েছেন। এমনকি তথাকথিত ঘরছাড়াদেরও ঘরে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূলই। বিজেপির সমর্থকরা বরং ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন দলের নেতাদের বিরুদ্ধে, পাশে না পাওয়ার অভিযোগে।

এই অবস্থায় নির্মলা সীতারামনের টুইট নিয়ে নতুন করে নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রশ্ন উঠছে কেশপুরের একটি গ্রামে লিফলেট নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে সময় নষ্ট করে কেন টুইট করতে হল? তিনি কি বার্তা দিতে চাইছেন দল কর্মীদের পাশে রয়েছেন। যা নিয়ে অবশ্য দলেই বার বার প্রশ্ন উঠছে। অতিমারীর সময় কেন্দ্রীয় সরকারের চূড়ান্ত ব্যর্থতা বাংলার মানুষের কাছ থেকে আড়াল করতেই কি এই পরিকল্পনা? উত্তর না মিললেও প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:নয়া ডিজিটাল নিয়ম না মানলে ‘ফল ভুগতে হবে’, টুইটারকে চরম হুঁশিয়ারি কেন্দ্রের

Advt

Previous articleনয়া ডিজিটাল নিয়ম না মানলে ‘ফল ভুগতে হবে’, টুইটারকে চরম হুঁশিয়ারি কেন্দ্রের
Next articleতৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত জগদ্দল, দফায় দফায় উত্তেজনা, আহত ৩ পুলিশকর্মী