নিউটাউন এনকাউন্টার: বাড়ি মালিকদের উদাসীনতায় শহর-শহরতলী হয়ে উঠেছে দুষ্কৃতীদের “নিরাপদ আশ্রয়”

নিউটাউন এনকাউন্টারের পর রাজ্য ও কলকাতার বিভিন্ন আবাসন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে গেল। ভিন কুখ্যাত অপরাধীদের কীভাবে নিরাপদ “আশ্রয়স্থল” হয়ে উঠছে শহর। অপরাধমূলক কাজকর্মের পুলিশের হাতে ধরাও যেমন পড়ছে, ঠিক একইভাবে অপরাধ সংগঠিত করার পর পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েও গেছে অনেকে।

কিন্তু ফ্ল্যাট বা বাড়ির মালিকরা কীভাবে ভাড়া দিচ্ছেন তাদের? দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুয়ো নথি ও ভুয়ো পরিচয় দিয়ে শহর ও শহরতলির বিভিন্ন আবাসন ও বাড়িতে গা ঢাকা দিচ্ছে অপরাধীরা।

আরও পড়ুন-চরাচরের দূরত্ব কাটিয়ে না-ফেরার দেশে বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

নিউটাউনের ঘটনা কিন্তু নতুন নয়, অতীতেও কলকাতা শহরে দাগি অপরাধীদের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে গা ঢাকা দেওয়ার উদাহরণ আছে। গুলশান কুমারের হত্যাকারী গা ঢাকা দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছিল এই শহরকেই। উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত জঙ্গি বাবু ভাই ওরফে জালালুদ্দিনকে উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়াতে বিপুল আরডিএক্স সমেত লুকিয়ে ছিল। যদিও সিআইডি’র হাতে গ্রেফতার হয়েছিল সে। চিৎপুরেও গত বছর এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী লুকিয়ে ছিল। পুলিশ আসছে জানতে পেরে বহুতলের উপর থেকে ঝাঁপ দিলে মৃত্যু হয় তার।

সব মিলিয়ে এত বড় কলকাতায় দাগি আসামী, দুষ্কৃতী বা জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার “নিরাপদ আশ্রয়” হয়ে উঠেছে শহর ও শহরতলীর বহুতল ও ফ্ল্যাট বাড়িগুলি। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাড়ি মালিকদের উদাসীনতায় অপরাধীরা নিশ্চিন্তে গা ঢাকা দিচ্ছে এ রাজ্যে।

আরও পড়ুন- বড় ধাক্কা: জেলবন্দি মেহুলকে নিষিদ্ধ অভিবাসী ঘোষণা ডোমিনিকার

Advt

Previous articleবড় ধাক্কা: জেলবন্দি মেহুলকে নিষিদ্ধ অভিবাসী ঘোষণা ডোমিনিকার
Next articleবজ্রপাতে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আজ হুগলিতে অভিষেক