মুকুল-রাজীব পর্বের পর তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কী বার্তা দিলেন কুণাল?

শুক্রবার সপুত্র মুকুল রায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন এবং শনিবার কুণাল ঘোষ-রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সৌজন্য বৈঠক’। এই ঘটনার আগে ও পড়ে অনেকেই দলে ফেরার জন্য নানাভাবে বার্তা দিচ্ছেন। তাদের নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান আরও পরিষ্কার করলেন সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। রবিবার ফুলবাগানে বিধায়ক পরেশ পালের উদ্যোগে একটি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কুণাল বলেন, দলের এটা নীতিনির্ধারণের বিষয়। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং।

কুণাল বলেন, বিগত কয়েকদিন ধরেই অনেকেই নানাভাবে দলে ফেরার বার্তা দিচ্ছেন। কেউ ফোনে, কেউ হোয়াটসঅ্যাপে, কেউ চিঠিতে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কাউকে নেওয়া বা না নেওয়ার বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে কারওর এক্তিয়ারে নেই। আমাদের কাছে যে খবর, তথ্য বা অনুরোধ-আবেদন আসছে, সেগুলি আমরা শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাচ্ছি। শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন সর্বোচ্চ নেতৃত্ব।

ভোটের আগে দল ছেড়ে অনেকেই গেরুয়া শিবিরে গিয়েছিলেন। তাদের দলের ফেরার আবেদনে তৃণমূলের লড়াকু কর্মী অর্থাৎ যারা দলকে বিপুল ভোটে জিতিয়ে আনলেন, তাদের মধ্যে অভিমান বা ক্ষোভ তৈরি হতে পারে। আর সেটা বুঝেই সে প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, যারা চলে গিয়েছিলেন, তাদের ছাড়াই দল বিপুলভাবে জিতেছে, এটা সবাই দেখেছেন। সেইসব লড়াকু কর্মীদের দল স্যালুট করছে। তারা কষ্ট পাবেন বা দুঃখ পাবেন বা আবেগে আঘাত করে এমন কোনও পদক্ষেপ দল করবে না। কেউ দেখা করা মানেই দলে চলে এলেন তা নয়। তবে তার বাইরেও বৃহত্তর পরিপ্রেক্ষিত কোনও কোনও সময়ে আসে। সেই প্রেক্ষিত এলে সময়োচিত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কুণাল এদিনও একহাত নেন শুভেন্দু অধিকারীকে। বলেন, দলত্যাগ বিরোধী আইনের কথা বলে হাওয়া গরম করছে শুভেন্দু অধিকারী। যদি সেই আইন প্রয়োগ করতে হয় তাহলে বাড়ি থেকে শুরু করুক। বাবা শিশির অধিকারী তৃণমূলের প্রতীকে, সমর্থনে জিতে সাংসদ হয়েছেন। এখন দল বদলে বিজেপিতে। শুভেন্দুর সৎ সাহস থাকলে আগে শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের দাবি তুলুন।

আরও পড়ুন- কংগ্রেসকে ‘গুণ্ডা’ বলে হঠাৎ পোস্ট বিকাশ ভট্টাচার্যের, সূর্যকান্তকে নালিশ করেই দায় এড়ালো কংগ্রেস

 

Previous articleজয় দিয়ে ইউরো কাপের অভিযান শুরু করল ইংল‍্যান্ড
Next articleনিউটাউন এনকাউন্টার: ফ্ল্যাটে ব্যবহৃত কন্ডোম, সিসিটিভি ফুটেজে দুই রমণীর হদিশ