আইন না জেনেই দলত্যাগ বিধি নিয়ে হুমকি শুভেন্দু’র, শিশির-ইস্যুতে কেন নীরব, উঠছে প্রশ্ন

২৪ ঘন্টার মধ্যে মুকুল রায় বিধায়ক পদ না ছাড়লে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করার জন্য বিধানসভার স্পিকারের কাছে আবেদন জানাবে বিজেপি৷

দলীয় বিধায়কদের এক প্রতিনিধি দল নিয়ে সোমবার রাজভবনে জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করার পরই বাজার গরম করা হুংকার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর৷ রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, আইন না জেনেই কথা বলছেন শুভেন্দু ৷ দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন একমাত্র স্পিকার। কার বিরুদ্ধে এবং কবে তিনি পদক্ষেপ করবেন সবটাই স্পিকারের সিদ্ধান্তের উপরে নির্ভর করছে। ফলে বিরোধী দলনেতার এ ধরনের হুমকি একেবারেই অর্থহীন৷

শুভেন্দুর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ হওয়া শিশির অধিকারী এবং সুনীল মণ্ডলের ক্ষেত্রেও দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করার জন্য শুভেন্দু সরব হচ্ছেন না কেন ? একই ইস্যুতে শুভেন্দু’র দু’ধরনের ভূমিকা পালন করার চেষ্টাকে ‘দ্বিচারিতা’ বা ‘ভণ্ডামি’ হিসাবেই চিহ্নিত করেছে রাজনৈতিক মহল৷

আরও পড়ুন:মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে কী জানালেন মুখ্যমন্ত্রী?

এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর হয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে সুর চড়ান ‘অনুপ্রাণিত’ শুভেন্দু। তিনি মুকুল রায়কে ২৪ ঘন্টা সময় দিয়েছেন বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার জন্য৷ বিধায়ক পদ না ছাড়লে বিধানসভার স্পিকারের কাছে তিনি আবেদন জানাবেন
দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার জন্য৷ মুকুল রায়ের সঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের যোগাযোগ করা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে যে জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে, সে প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “কার সঙ্গে ওনার যোগাযোগ হয়েছে সেটা উনিই বলতে পারবেন।” ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েও এদিন ফের রুটিন কথা বলেছেন শুভেন্দু৷ এ রাজ্যে নারীসুরক্ষা বিপন্ন বলেও দাবি তুলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে এ রাজ্যে ৩ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। এর ৯০ শতাংশই ভুয়ো। এ বিষয়ে তিনি প্রয়োজনে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন৷

Previous articleসুন্দরবন থেকে আসবে বাঘ, তৈরি হবে মিনি হসপিটাল! চিড়িয়াখানা পরিদর্শনে গিয়ে ঘোষণা বনমন্ত্রীর
Next articleটসিলিজুমাবকাণ্ড : এবার সরানো হল অভিযুক্ত সিস্টার ইনচার্জকেও