সিএএ আন্দোলনকারীদের জামিনের বিরোধিতা করে এবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ দিল্লি পুলিশ

কেন্দ্রের সিএএ আইনের(CAA) বিরুদ্ধে রাজধানীতে প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হয়েছিল নাতাশা নরওয়াল, দেবাঙ্গনা কলিতা ও ইকবাল তনহারা। এই ঘটনার জেরে দিল্লিতে হিংসা ছড়ানোর শান্তি বিঘ্নিত করা সহ একাধিক অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ(Delhi Police)। মামলা দায়ের হয় ইউএপিএ(UAPA) ধারাতেও। যদিও এই তিনজনকে সম্প্রতি ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেয় হাইকোর্ট(High Court)। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বুধবার বেলা ১টার মধ্যে যেন তাদের জামিন সম্পন্ন হয়।তবে জামিন তো দূর দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলো দিল্লি পুলিশ। শুক্রবার ওই তিন আন্দোলনকারীর জামিনের শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court)।

জানা গেছে, জামিনের নির্দেশের পর একেবারে শেষ মুহূর্তে দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিল দিল্লি পুলিশ। যেখানে আবেদন করা হয় আধারের তথ্য যাচাই করার জন্য জামিন তিন দিন পিছিয়ে দেওয়া হোক। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টেও জামিন বাতিলের আবেদন জমা করে পুলিশ। হাইকোর্ট অবশ্য জামিন তিন দিন পিছিয়ে দেওয়ার সেই আবেদন খারিজ করে সন্ধ্যার মধ্যে জামিনের নির্দেশ দেয়। তবে জামিনের পরিবর্তে এবার হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলো দিল্লি পুলিশ।

আরও পড়ুন:‘চিন্তা নেই দিদি আছে’, ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের ভাতা বাড়ানোয় টুইট মুকুল-সায়ন্তিকা-নুসরতদের

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে দিল্লিতে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন মহিলা অধিকার সংরক্ষণ গ্রুপ পিঞ্জরা তোড়ের নাতাশা নরওয়াল, দেবাঙ্গনা কলিতা ও জামিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসিফ ইকবাল তনহা। প্রায় ১ বছরেরও বেশি সময় পর হাইকোর্টের বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল, বিচারপতি অনুপ জয়রাম ভম্বানির বেঞ্চ মঙ্গলবার ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ড ও পাসপোর্ট জমা নিয়ে জামিনের নির্দেশ দিয়েছিল। পর্যবেক্ষণে বেঞ্চ জানিয়েছিল, প্রতিবাদের অধিকার ও সন্ত্রাসমূলক কাজের মধ্যে বিচ্যুতি রেখাটা ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। এই মনোভাব যদি বেশি করে আকর্ষিত হয়, তাহলে তা গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে খারাপ দিন হবে।

Previous articleহঠাৎ মৃত্যু অভিষেককে আক্রমণকারী সেই দেবাশিসের
Next articleবিজেপির “বঙ্গভঙ্গ” চক্রান্ত রুখতে এবার কোমর বেঁধে মাঠে নামছে তৃণমূলের সাংস্কৃতিক সেল