বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তুতি কি বিধানসভার প্রথম অধিবেশনেই? বাড়ছে জল্পনা

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের(assembly election) আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দিয়েছিলেন ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে বিধান পরিষদ(Bidhan Parishad) ফিরিয়ে আনবেন তিনি। তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব পাস হয়ে করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। এরপরই শোনা যাচ্ছে, সরকারের প্রথম বিধানসভার অধিবেশনেই বিধান পরিষদ গঠনের কাজ শুরু হয়ে যেতে পারে।

জানা গিয়েছে, আগামী ২ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্য বিধানসভা অধিবেশন। সরকার গঠনের পর প্রথম বিধানসভা অধিবেশনেই বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে পারে সরকার। রাজ্যসভা ও লোকসভার মতো দ্বিকক্ষ আইনসভার উচ্চকক্ষ বিধান পরিষদ এবং নিম্নকক্ষ বিধানসভা। এটি গঠনের জন্য সর্বপ্রথম বিধানসভায় বিল আনতে হবে রাজ্যকে। এরপর বিধান পরিষদ গঠনের জন্য রাজ্যের রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগবে। আর সেটাই সবচেয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। উল্লেখ্য, যদি বিধান পরিষদ গঠিত হয় সে ক্ষেত্রে বিধানসভার এক-তৃতীয়াংশ সদস্য থাকবে বিধান পরিষদে। আর সেই হিসেবে ২৯৪ আসনবিশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিধান পরিষদে থাকতে পারবেন ৯৮ জন সদস্য। যদিও রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের লাগাতার সংঘাতের মাঝে রাজ্যপালের অনুমতি পেয়ে বিধান পরিষদ গঠন করা এতটাও সহজ হবে বলে মনে করছে না রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন:রবিবার থেকে টানা ৭ দিন প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গে, ফের ধস ও জল জমার আশঙ্কা!

উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও বিহার রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও একটা সময় বিধান পরিষদ ছিল। কিন্তু ১৯৬৯ সালের মার্চ মাসে সংসদে পশ্চিমবঙ্গ বিধান পরিষদ অবলুপ্তি আইন পাস করিয়ে রাজ্য বিধান পরিষদ তুলে দেওয়া হয়েছিল। সে সময় পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় ছিল বাংলা কংগ্রেস ও বামেদের যুক্তফ্রন্টের সরকার। সেই সরকারের আমলেই বিধান পরিষদ বিলুপ্ত হয় রাজ্যে। দীর্ঘ ৫০ বছর পর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ফের বাংলায় ফিরে আসতে চলেছে বিধান পরিষদ।

 

Previous articleটোকিও অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন করতে পারলেন না মো ফারার
Next articleশুভেন্দু হানায় ঢেলে সাজানো হচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের নিরাপত্তা