নন্দীগ্রাম ভোটে কারচুপি! নথি দেখিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূলের

বিপুল কারচুপি। যত দিন যাচ্ছে, ততই উঠে আসছে নন্দীগ্রামে ভোটের আসল চিত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে কীভাবে চক্রান্ত করা হয়েছে, তার আরও প্রমাণ এবার তথ্য সহ সামনে এলো। ৩০টির বেশি তথ্য সামনে এনে তৃণমূল যে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে, তার জবাব নির্বাচন কমিশনকেই দিতে হবে।

দিন আগে খবর মিলেছিল নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ার এস এন রায় স্কুলের বুথে মোট ভোটার ৬৭৬। কিন্তু ভোট পড়েছে ৭৯৯। কী করছিল নির্বাচন কমিশন? উত্তর মেলেনি। কিন্তু শুধু রেয়াপাড়াই নয়, এই চিত্র নন্দীগ্রামের বিভিন্ন বুথের। সেখানে বহু জায়গাতেই ভোটারের তুলনায় ভোট পড়েছে অনেক বেশি। কোথাও আবার যতজন ভোটার, ভোট পড়েছে ঠিক ততগুলো। যেমন কাঁটাবেড়িয়া প্রাথমিক স্কুল, ১৯৯ নম্বর সামসাবাদ প্রাইমারি সেকশন রুম নম্বর ২-এই সব জায়গাতে যতজন ভোটার, ভোট পড়েছে ঠিক ততগুলো। এটা কীভাবে সম্ভব? প্রশ্ন তুলেছে শাসকদল। তাহলে কী ধরে নিতে হবে সমস্ত ভোটাররা ভোট দিতে গিয়েছিলেন? এই উদাহরণ আরও আছে। হোসেনপুর শিশু শিক্ষা কেন্দ্র, বরানগর নৈতালিম প্রাথমিক স্কুল- এই সব জায়গাতেও যতজন ভোটার তত ভোট পড়েছে। আবার ভোটারের থেকে বেশি সংখ্যায় ভোট পড়েছে এমন উদাহরণও রয়েছে প্রচুর।

এসম্পর্কে নথি প্রকাশ করেছে তৃণমূল। শাসকদলের অভিযোগ, এই ভাবেই নন্দীগ্রামে ভোটে বিপুল কারচুপি করে জিতেছে বিজেপি। চক্রান্তের জাল যে আরও গভীরে তা যতদিন যাবে প্রমাণিত হবে, দাবি তৃণমূলের।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নন্দীগ্রামে ভোটে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। পরে এই বিষয়ে হাইকোর্টে মামলাও করেছেন তিনি। সেই মামলা বর্তমানে বিচারাধীন। এর মধ্যে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ার এস এন রায় স্কুলের বুথের ‘অ্যাকাউন্ট অব ভোটস রেকর্ডেড’-এ স্পষ্ট লেখা রয়েছে ওই বুথে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৭৬। কিন্তু ভোট পড়েছে ৭৯৯। তাতেই সই করেছেন প্রিসাইডিং অফিসারও। তবে, শুধু রেয়াপাড়া নয়, বিভিন্ন বুথেই এই চিত্র দেখা যাচ্ছে।

ভোটগণনার দিন সকাল থেকেই লড়াই জমে উঠেছিল নন্দীগ্রামে। প্রথমে শুভেন্দু এগিয়ে গেলেও পরে তাঁকে টপকে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধে নাগাদ সংবাদ সংস্থা এএনআই(ANI) জানায়, নন্দীগ্রামে ১২০০ ভোটে জিতে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। পরে রিটার্নিং অফিসার ঘোষণা করেন, মমতাকে ১৯৫৬ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গণনায় গরমিলের অভিযোগ তোলে তৃণমূল। তারপরে বিভিন্ন নথি প্রকাশ করে তৃণমূল কংগ্রেস দেখা যায় নন্দীগ্রামের অধিকাংশ বুথেই ভোটারের সংখ্যা থেকে ভোট পড়েছে বেশি থেকে স্পষ্ট ছাপ্পা ভোটের তত্ত্ব এবং তৃণমূলের অভিযোগ, কারচুপি এবং নন্দীগ্রামের আসন দখল করেছে বিজেপি।

আরও পড়ুন- ফের ভাঙন বিজেপিতে, এবার বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত দখলের পথে তৃণমূল

Previous articleনারদ অভিযুক্তের সঙ্গে তুষার মেহতার বৈঠক কেন? গর্জে উঠলেন কুণাল
Next articleফের ধাক্কা খেল শেয়ারবাজার, ১৬৪ পয়েন্ট নামল সেনসেক্স