স্ট্যান স্বামীর মৃত্যু: রাষ্ট্রসংঘে মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্নের মুখে মোদি সরকার

আজীবন দলিত-আদিবাসীদের সামাজিক অধিকার ও ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে কাজ করা ধর্মযাজক ফাদার স্ট্যান স্বামীর (stan swami) বিনা বিচারে মৃত্যুর প্রতিবাদে সরব হচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল। রাষ্ট্রসংঘের (united nations) মানবাধিকার পরিষদ থেকে এই ঘটনায় ভারত সরকারের দায় স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করে বিশিষ্ট মানুষদের মিথ্যা মামলায় আটক করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে, মিথ্যা দেশদ্রোহের মামলা দিয়ে বিশিষ্ট মানুষদের বিনা চিকিৎসায় ও বিনা বিচারে আটকে রেখে হেনস্থা করা হচ্ছে। ৮৪ বছরের বৃদ্ধ পাদ্রীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে মোদি সরকারই। এই মৃত্যুর ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে নরেন্দ্র মোদি (narendra modi) সরকারের ভাবমূর্তি নিয়েই বড় ধরনের প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। ভারত সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের (UN) মানবাধিকার (human rights) বিষয়ক টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, বিনা বিচারে দীর্ঘদিন বন্দি থাকার পর মৃত্যু হয়েছে ৮৪ বছর বয়সী মানবাধিকার কর্মী স্ট্যান স্বামীর। তাঁর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত এবং উদ্বিগ্ন। যথেষ্ট আইনি প্রমাণ ছাড়া যে সব ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, প্রতিটি রাষ্ট্রের উচিত কোভিড পরিস্থিতিতে তাঁদের মুক্তি দেওয়া। প্রয়াত স্ট্যান স্বামীর ছবি প্রকাশ করে রাষ্ট্রসংঘের তরফে আরও লেখা হয়, বাক স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ জমায়েত এবং কোনও সংগঠন করার অধিকার প্রয়োগ করলে কাউকে আটক করা উচিত নয়।

রাষ্ট্রসংঘের টুইটে লেখা হয়েছে:
#India: We are saddened & disturbed by the death of 84-year-old human rights defender Father #StanSwamy, after prolonged pre-trial detention. With COVID-19, it is even more urgent that States release every person detained without sufficient legal basis.

রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের মুখপাত্র লিজ থ্রোসেল এর আগে জানিয়েছিলেন, গত ৩ বছর ধরে স্ট্যান স্বামী এবং তাঁর ১৫ জন সহবন্দির মুক্তি চেয়ে ভারত সরকারের কাছে দরবার করে আসছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি দিল্লি। প্রসঙ্গত, পার্কিনসন সহ অন্যান্য গুরুতর শারীরিক অসুস্থতার কারণে বারবার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেও প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন স্ট্যান স্বামী। তাঁর জামিনের আবেদন দীর্ঘ সময় ধরে ঝুলিয়ে রাখা হয়। উল্টে, নির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া শুধুমাত্র আটকে রাখার জন্য তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) বলেছিল, স্ট্যান স্বামী সত্যি সত্যিই অসুস্থ কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।

আরও পড়ুন- দুর্নীতি-আর্থিক তছরূপের অভিযোগে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অনাস্থা ডিরেক্টরদের

Previous articleদুর্নীতি-আর্থিক তছরূপের অভিযোগে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অনাস্থা ডিরেক্টরদের
Next articleস্ট্যান স্বামীর প্রয়াণে একজোট বিরোধীরা, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি সোনিয়া-মমতাসহ ১০ নেতৃত্বের