বাংলা নিয়ে হইচই আর যোগীরাজ্যে ব্লক নির্বাচনে বিজেপির নির্বিচার হিংসা!

বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ নিয়ে সরব বিজেপি, অথচ উত্তরপ্রদেশের (uttar pradesh) স্থানীয় নির্বাচনে বিরোধীদের উপর নির্বিচার তাণ্ডব ও হিংসার (violence) ঘটনায় নিশ্চুপ মোদি-শাহের দলের নেতারা। পঞ্চায়েতের ব্লক প্রধান নির্বাচন ঘিরে বিরোধীদের উপর নির্বিচার হামলার ঘটনায় সোচ্চার উত্তরপ্রদেশের বিরোধী দলগুলি। রাহুল-প্রিয়াঙ্কা গান্ধী থেকে অখিলেশ যাদব, মায়াবতী সবাই যোগীরাজকে জঙ্গলরাজের সঙ্গে তুলনা করেছেন। যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে গত কয়েকদিন ধরেই প্রধান বিরোধী সমাজবাদী পার্টি সহ বিরোধী দলের কর্মীদের উপর নির্বিচার আক্রমণ চালিয়েছে গেরুয়া বাহিনীর গুণ্ডারা। বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়া আটকাতে মারধর থেকে শ্লীলতাহানি কিছুই বাদ যায়নি। দুদিন আগে লখিমপুর খেরিতে সমাজবাদী পার্টির এক মহিলা প্রার্থীকে ঘিরে ধরে শ্লীলতাহানি করা হয়। দর্শকের ভূমিকায় ছিল পুলিশ। ঘটনা নিয়ে প্রবল হইচই শুরু হতে চাপে পড়ে ছজন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। হামলার ঘটনা ঘটেছে সাংবাদিকদের উপরেও। সব ক্ষেত্রেই নির্বিকার বিজেপি সরকার।

শনিবার উত্তরপ্রদেশের ব্লক পঞ্চায়েতের ৪৭৬ টি আসনের ফলপ্রকাশকে ঘিরেও চরম উত্তেজনার পরিস্থিতি। গত কয়েকদিন ধরে সমানে তাণ্ডব চালিয়েছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বিরোধী প্রার্থীদের ভয় দেখানো হয়েছে। পরিস্থিতি সম্পর্কে টুইট করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, উত্তরপ্রদেশে এখন হিংসার নতুন নামকরণ হয়েছে ‘মাস্টারস্ট্রোক’। কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দেওয়া আটকাতে সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছে যোগীরাজ্যের শাসকদল। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওলার কথায়, উত্তরপ্রদেশ এখন পুরোপুরি হিংসাপ্রদেশ হয়ে উঠেছে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগে আমল না দিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি স্বতন্ত্র দেবসিং বলেছেন, যোগী আদিত্যনাথ উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সুশাসন আর উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। জাতপাত আর দুর্নীতির বাধা দূর হয়েছে।

আরও পড়ুন- ব্যাপক সাড়া! ১০ দিনে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য জমা পড়ল ২৫ হাজারেরও বেশি আবেদন

Previous articleরাজর্ষির ছবি দিয়ে টলিউডে ডেবিউ করছেন সৃজিত-ঘরণী মিথিলা
Next articleদুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে নির্বাচনে লড়া যাবে না! নয়া বিল আনছে যোগী প্রশাসন