অধীরকে বক্তব্য পেশে বাধা বিজেপি সাংসদদের, দফায় দফায় মুলতুবি অধিবেশন

লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীকে (Adhir Ranjan Chowdhury) বক্তব্য পেশে বাধা ৷ সংসদের নিম্ন কক্ষের উৎপাদনশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই বৃহস্পতিবার তেতে ওঠেন বিজেপি সাংসদরা ৷ তাঁদের হইচইয়ের জেরে সভার কাজ বেশ কিছুক্ষণের জন্য মুলতুবি করে দিতে হয় অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে (Om Birla) ৷
এদিন সংসদে দাঁড়িয়েই সাংসদদের আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি ৷ অধ্যক্ষ স্পষ্ট জানান, এই বিষয়ে সাংসদরা সংযমী না হলে প্রয়োজনে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবেন তিনি ৷ বিরোধীদের প্রতিবাদে
পেগাসাস কাণ্ড (Pegasus Spyware) নিয়ে বৃহস্পতিবারও উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ ৷ ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগকে সামনে রেখে লাগাতার হই-হট্টগোল করে যান বিরোধী বিভিন্ন দলের সাংসদরা ৷ এরই মধ্যে লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীকে তাঁর বক্তব্য পেশের অনুমতি দেন অধ্যক্ষ ৷
এর আগে ওম বিড়লা বলেন, গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন দলের সাংসদরা এমন আচরণ করছেন, যা কখনই সংসদের মঞ্চে গ্রহণযোগ্য নয় ৷ তাঁর মতে, এই ধরনের আচরণ অসংসদীয় ৷
অধ্যক্ষ সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের আবেদন করেন, তাঁরা যেন এই ধরণের আচরণ থেকে নিজেদের বিরত রাখেন ৷ ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেই বিষয়েও সাংসদদের সতর্ক করে দেন অধ্যক্ষ ৷ সেক্ষেত্রে তিনি যে দোষী সাংসদদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন, তাও স্পষ্ট করে দেন ওম বিড়লা।

এরপরই বক্তব্য রাখতে গিয়ে অধীর দাবি করেন, অধ্যক্ষ ওম বিড়লার নেতৃত্বে সংসদের উৎপাদনশীলতা বেড়েছে, এমন একটা দাবি নাকি সরকার পক্ষ সর্বত্রই করে বেড়াচ্ছে ৷ এ নিয়ে সংসদে দাঁড়িয়েই প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা ৷ কিন্তু তাঁর সেই প্রচেষ্টা সফল হতে দেননি বিজেপি সাংসদরা ৷ অধীরের বক্তব্য পেশের মধ্যেই তাঁরা সভার অন্দরে কংগ্রেসীদের আচরণ নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তোলেন ৷
বিজেপি সাংসদদের অভিযোগ ছিল, কংগ্রেস দীর্ঘদিন কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকার পরও সংসদীয় আচরণবিধি ভঙ্গ করছে ৷ কংগ্রেসের সাংসদরা সভা চলাকালীন কখনও অধ্যক্ষের দিকে, তো কখনও সরকার পক্ষের সাংসদদের দিকে কাগজের তাড়া ছুঁড়ে মারছেন ৷ অথচ এই নিয়ে তাঁদের কোনও তাপ-উত্তাপ নেই ৷ এমনকী, নিজেদের আচরণের জন্য ক্ষমাও চান না তাঁরা ৷ উপরন্তু সংসদের উৎপাদনশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৷

এরপরই লোকসভার অন্দরে ব্যাপক হইচই শুরু হয়ে যায় ৷ হই-হট্টগোলের জন্য কিছুক্ষণের জন্য অধিবেশন মুলতুবি করে দেন অধ্যক্ষ ৷ পরে সভার কাজ ফের শুরু হলেও অশান্তি থামেনি ৷ তার মধ্যেই চলতে থাকে রোজকার অধিবেশন ৷ পাল্লা দিয়ে দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের অধিবেশন।

 

Previous articleআইপ্যাকের ২৩ কর্মীর জামিন, ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের ট্যুইটার, ফেসবুক
Next articleরাজ্যসভায় প্রার্থী দিচ্ছে না বিজেপি, টুইটে হার স্বীকার শুভেন্দুর