হেস্টিংস থেকে ফের বিজেপির সাংগঠনিক দফতর সরলো রাজ্য দফতরে! কিন্তু কেন?

একুশের বিধানসভা ভোটের (West Bengal Assembly Election) আগে রমরমা কাণ্ড ছিল বিজেপির (BJP) হেস্টিংস দফতরে (Hearings Office)। একেবারে ঝাঁ চকচকে কর্পোরেট এই অফিসকে রাজ্য বিজেপি নির্বাচনী দফতর বানিয়েছিলাম। খোলা হয়েছিল বিশাল আইটি সেল। তৈরি করা হয়েছিল “ওয়ার রুম”। যেখানে কয়েক মাস আগে পর্যন্ত আনাগোনা লেগেই থাকতো বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রের নেতাদের। মূলত, অনেক বড় অফিস বলেই হেস্টিংসের এই দফতরে পার্টি অফিস বানিয়েছিল গেরুয়া শিবির।

কিন্তু ভোট পরবর্তী সময়ে কিছু সাংগঠনিক বৈঠক ছাড়া এই দফতর কার্যত শুনশান। তার উপর সম্প্রতি যুবনেতার রাজু সরকারের মৃত্যুর পর এবার হেস্টিংস থেকে সাংগঠনিক অফিস সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। অফিসটি স্থানান্তরিত করা হল ৬, মুরলীধর সেন লেনে (Murlodhar Sen Lane), দলের রাজ্য সদর দফতরে।

আরও পড়ুন:নাইট কার্ফুর মধ্যে শিয়ালদহে পুলিশকর্মীকে চপারের কোপ

উত্তর কলকাতার সেন্ট্রাল এভিনিউ চত্বরে মুরলিধর সেন লেনে রাজ্য সদর দফতরের ভবনটি বহু পুরনো। জায়গায় অভাব তো ছিলই, ভবনটি আধুনিকীকরণ করাও সম্ভব হচ্ছিল না। ভোটের সময় দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতা, এমনকী বিভিন্ন জোনের পর্যবেক্ষকদের জন্যও আলাদা ঘরের দরকার ছিল। দলীয় কার্যালয়ে আবার নিত্যদিন ভিড় করতেন সাধারণ কর্মীরা। নির্বাচনী কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য হেস্টিংস মোড়ের কাছে আগরওয়াল হাউসের পাঁচটি ফ্লোর ভাড়া নেওয়া হয়। তবে এখন প্রায় সবটাই ফের সরে গেল রাজ্য দফতরে। ফের পুরনো কার্যালয়ে ফিরে এসেছেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দলের সাধারণ সম্পাদকরা যখন রাজ্য দফতরে বসছিলেন, তখন হেস্টিংসে অফিস থেকে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, পাঁচতলায় অডিটোরিয়াম ও ৯ তলায় ঘরগুলি অবশ্য এখনই ছাড়ছে না বিজেপি। ধীরে ধীরে সেগুলিও সরিয়ে আনা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

 

Previous articleজঙ্গি খুঁজতে শনিবার সকাল থেকেই উপত্যকা জুড়ে তল্লাশি শুরু সেনাবাহিনীর
Next articleস্বাধীনতা দিবসের আগেই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মুখোমুখি ভারত-চিন