তৃণমূল সাংসদদের সংসদে ঢুকতে বাধা: ‘এটা কি গণতন্ত্র চলছে!’ টুইট ডেরেকের

পেগাসাস(Pegasus) নিয়ে সংসদের অন্দরে আলোচনার দাবী জানিয়ে সাসপেন্ড হয়েছিলেন তৃণমূলের(TMC) ৬ সাংসদ। তাঁদের বিরুদ্ধেই এবার দুর্ব্যবহার ও শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ আনলেন লোকসভার মহিলা নিরাপত্তাকর্মী(security) চন্দ্রকলা। গতকাল অধিবেশন শেষ হওয়ার পরও সংসদ কক্ষে সাংসদদের ঢুকতে না দেওয়ায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ(Arpita Ghosh)। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করেই উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

সেদিন ঠিক কী হয়েছিল তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে বৃহস্পতিবার একটি টুইট করেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। টুইটে একটি ভিডিও তুলে ধরে ডেরেক লিখেছেন, সকাল ১১টা নাগাদ পেগাসাস কাণ্ডে আলোচনা করতে নিমরাজি হয় সরকার। ৩০ জন বিরোধী সাংসদ ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সকালে ১১টা ১৩ মিনিট নাগাদ প্ল্যাকার্ড হাতে থাকার কারণে বরখাস্ত করা হয় ৬ সাংসদকে। এরপর দুপুর ৩টে ৩৫ মিনিট নাগাদ সেদিনের মতো মুলতুবি হওয়ার পরেই তিন তৃণমূল সাংসদকে সংসদ কক্ষে ঢুকতে একজন পুরুষ মার্শাল তাদের বাধা দেন। গোটা ঘটনা তুলে ধরে ডেরেকের প্রশ্ন, এটা কি গণতন্ত্র চলছে!

তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেনের ব্যাগ থেকে গিয়েছিলো সংসদ কক্ষে। তিনি সেটি আনতে যেতে চাইলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। অথচ সেদিনের মত অধিবেশন শেষ হয়ে গিয়েছে এবং সাসপেনশনও উঠে গিয়েছে। পরে ডেরেক ও’ব্রায়েন বিষয়টি নিয়ে সরব হতেই সরকারপক্ষ সুর নরম করে। এদিকে তৃণমূল সাংসদের নিগ্রহের ঘটনায় রাজ্যসভায় সরব হন কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাগড়ে। রীতিমতো সংবিধানের অধ্যায় তুলে ধরে তিনি প্রশ্ন করেন সংসদ শেষ হওয়ার পর যদি কেউ সংসদে তার নিজের কোন পেপার কিংবা ব্যাগ আনতে যান তবে তাকে আটকে দেওয়া কোন আইনের মধ্যে পড়ে? তবে ওই ৬ সাংসদের বিরুদ্ধে নিগ্রহের অভিযোগ তুলে লোকসভার সচিবকে চিঠি দিতে চলেছেন ওই মহিলা নিরাপত্তারক্ষী।

 

Previous articleপুজোর পরেই খুলে যাবে স্কুল, জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Next articleরুপোতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল ভারতের কুস্তিগীর রবি কুমারকে