তৃণমূল প্রতিপক্ষ, প্রধান রাজনৈতিক শত্রু বিজেপি! আলিমুদ্দিনে স্পষ্ট বার্তা ইয়েচুরির

রাজ্যে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ও তৃণমূলের থেকে সময় দূরত্ব বজায় রাখতে চেয়েছিল সিপিএম তথা বামেরা। এবং সিপিএমের নির্বাচনী স্লোগান হয়েছিল “বিজেমূল”! যথারীতি যা হওয়ার তাই হয়েছিল। প্রকৃত রাজনৈতিক শত্রু চিহ্নিত করতে না পারার জন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছে সিপিএম তথা বামেরা। স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বামেদের একজনও সদস্য নেই। আবার এই ইতিহাস তৈরি করার পরেও লজ্জা নাই সিপিএমের!

যা নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় কমিটিতে দিনের-পর-দিন ময়নাতদন্ত হয়েছে। শরিকরা গালমন্দ করছে। বাধ্য হয়ে মাঠে নামতে হয়েছে খোদ সিপিআইএম সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে। এবার যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে সীতারাম ইয়েচুরি শুক্রবার সাফ জানিয়ে দিলেন, “বিজেপি আমাদের প্রথম শত্রু, কিন্তু তা বলে তৃণমূলের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা হতে পারে না।”

কলকাতায় সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন ইয়েচুরি। সর্বভারতীয় রাজ্যস্তরে তাদের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে কার্যত “ধরি মাছ না ছুঁই পানি” টাইপের উত্তর দিয়েছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সীতারাম বলেন, ‘‘গত ২০১৬ সাল থেকে বিরোধীরা নানা বৈঠক করেছে। যেখানে দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) এবং আমি ছিলাম। একাধিক খসড়া রয়েছে যেটা আমি নিজে তৈরি করেছি, দিদি সই করেছেন।’’

সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘’রাজনীতি শুধু ভোট, ভোটের সময় জোট এসব নিয়ে নয়। বৃহত্তরক্ষেত্রে বিজেপিকে কেন্দ্রে পরাস্ত করার প্রয়াস চলবে।’’ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত জ্যোতি বসুর প্রসঙ্গও টেনে আনেন ইয়েচুরি। তিনি বলেন, ‘’২০০৪ সালেই জ্যোতি বসু বলেছিলেন কেরল, ত্রিপুরা, বাংলায় আমরা কংগ্রেসকে পরাজিত করব। কিন্তু কেন্দ্রের সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে কংগ্রেসকে সমর্থন করব।’’

এদিকে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় মন দিয়েছে সিপিএম। সেখানে আবার সিপিএম নেতৃত্বকেও তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির। তবে ২০২৩য়ের নির্বাচনে তৃণমূল ও সিপিএম ত্রিপুরায় আসন সমঝোতা করবে কি না সেই প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাননি ইয়েচুরি। তিনি বলেন, ‘’ভোট এখন অনেক দূরে। ত্রিপুরায় আমরাই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রধান শক্তি। সেই লড়াইটা আমরা রোজ লড়ছি।’’

আরও পড়ুন- এবার পুলিশের জালে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের ভুয়ো অফিসার

এদিকে সূর্যকান্ত মিশ্র সহ একাধিক সিপিএম নেতা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন বিজেপি ও টিএমসির মধ্যে অংশীদারিত্ব রয়েছে এই বার্তাটি ঠিক ছিল না। এব্যাপারে ইয়েচুরির দাবি, ‘‘পরিস্থিতির বদল হয়েছে। আমাদের প্রধান নিশানা বিজেপি। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে আমরা তৃণমূলের বিরুদ্ধ লড়ব না।’’ তবে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের দাবি, ‘আমরা বাংলায় সিপিএমের সমর্থন চাইছি না। ত্রিপুরাতেও বিজেপির বিরুদ্ধে একাই লড়ব। সিপিএম ওদের দ্বিচারিতা নিয়েই থাকুক। তবু ভালো জাতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধীদের সঙ্গে ওরা আছেন।’’

advt 19

 

Previous articleডামাডোলের বাজারে হঠাৎ ত্রিপুরায় রাজীব! কিন্তু কেন?
Next articleসোমবার থেকে নয়া নিয়মে টিকাকরণ কলকাতা পুরসভায়