বালি পাচার রুখতে আরও কড়া নবান্ন, খাদানগুলিতে ২৪ ঘণ্টা নজরদারির নির্দেশ 

বালি পাচার রুখতে নতুন করে পদক্ষেপ আগেই নিয়েছে রাজ্য সরকার। তারপরেও গ্রহণ দমানো যাচ্ছেনা চোরাকারবারীদের। তাই এবার অবৈধ বালি খাদান নিয়ে জেলাশাসকদের কড়া নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। যো কোনও জায়গা থেকে যারা বালি তুলবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি। বালি পাচার রুখতে ওই সমস্ত খাদানগুলিতে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানোরও নির্দেশ দেন তিনি।

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখনও অবৈধ বালি তোলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সে অবৈধ বালি তোলার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। এই ঘটনায় মুখ্যসচিবের প্রশ্ন, স্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও এই ধরনের অবৈধ খনির কাজ কীভাবে চলছে।
এসপি, ডিএলআরও, ডিএফওর উদ্দেশ্যে তার নির্দেশ, দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক অবিলম্বে। একই সঙ্গে ওই সমস্ত এলাকায় সারাক্ষণ নজরদারি চালানোর জন্য বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে।

আরও পড়ুন – ছাত্রবিক্ষোভ অব্যাহত বিশ্বভারতীতে, মিছিলে যোগ দিলেন ঐশী

দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেও বালি, কয়লার মতো প্রাকৃতিক সম্পদ লুট রুখতে পারা যাচ্ছে না। গত ২২ জুলাই ফের একবার এই অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করেন, ‘অবশেষে বাধ্য হয়েই নয়া নীতি অবলম্বন করতে হল।’
পাচার রুখতে নতুন মাইনিং পলিসি ২০২১ এনেছে রাজ্য। যার ফলে বালি তোলার সমস্ত দায়িত্ব থাকবে মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবের হাতে। ফলে বালি তোলার জন্য যে কোনও বেসরকারি সংস্থাগুলিকে অনুমতি নিতে হবে মুখ্যসচিবের কাজ থেকে। তবে শুধু বালি নয়, কয়লা উত্তোলনের ক্ষেত্রেও এই একই নিয়ম মেনে চলতে হবে। কিন্তু তারপরেও বন্ধ হয়নি চোরাকারবারীদের দৌরাত্ম্য।

advt 19

 

Previous article‘প্রাচীন ঐতিহ্য’ ফেরাতে মথুরায় মদ-মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করলেন যোগী আদিত্যনাথ
Next articleইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! ত্রিপুরায় পালাবদলের লড়াইয়ে শচীন্দ্রলাল-সন্তোষমোহনের পুত্র-কন্যা