কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের বিক্ষোভ

কেন্দ্রের মোদি সরকারের জনবিরোধী কৃষি আইন, CAA পেট্রল-ডিজেল-রান্নার গ্যাসের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, পেগাসাস কান্ড, BSNL, ব্যাঙ্ক, বিমা ও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প বেসকারীকরনের পর এবার আর পিছনের দরজা দিয়ে চুপি চুপি নয়, কেন্দ্র সরাসরি ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষনা করছে “ন্যাশানাল মানিটাইজেশান পাইপলাইন” পোশাকি নামের নেপথ্যে জাতীয় সম্পত্তি বিক্রয় নীতি। সরকারী সম্পত্তি বেসরকারী ক্ষেত্রকে কাজে লাগাতে দিয়ে ৪ বছরে ৬ লক্ষ কোটি টাকা আয় করার অনৈতিক পরিকল্পনা করা

৬ হাজার কিমি জাতীয় সড়ক, ৫০টি রেল স্টেশন, ট্রেনের রুট, পাওয়ার গ্রিডের বিদ্যুতের লাইনের পরিকাঠামো, গ্যাসের পাইপলাইন, ১৫০ টি যাত্রীবাহী ট্রেন, মেট্রো রেলের পরিকাঠামো, টেলিকম টাওয়ার, ফাইবার নেটওয়ার্ক, ১৮টি বিমান বন্দর, দিল্লির সরকারি নেহেরু স্টেডিয়াম, দার্জিলিং-এর ট্রয় ট্রেন, এই রকম ৩০টি প্রকল্পের ১০০টি সম্পত্তি বেসরকারীকরণ করবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প তো আছেই বিক্রি করার জন্য। ভারত পেট্রলিয়াম, ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনস, এয়ার ইন্ডিয়া, এলআইসি, সিপিং কর্পোরেশানের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পের ভাগ্য নির্ধারন ইতিমধ্যে হয়েই গেছে ।

স্বাধীনতার পরে দেশের এতো করুণ অবস্থা কোনওদিন হয়নি। দেশের অর্থনীতিতে ধস নামিয়ে দিয়েছে মোদি সরকার। কেন্দ্র কোথায় দেশের শিল্প পরিকাঠামো বৃদ্ধি করবে, কর্মসংস্হানের সুযোগ সৃষ্টি করবে, দেশের সম্পদ বৃদ্ধি করবে, তা না করে দেশের সম্পদ নিলাম করতে নেমে। পড়েছে মোদি। আর এই সবের আড়ালে দেশের মানুষ সিদুঁরে মেঘ দেখছে। মোদির প্রিয় পাত্র হাতে গোনা শিল্পপতি বন্ধুদের সুবিধা পাইয়ে দিতে এবং ২০২৪ নির্বাচনের প্রচারের খরচ তুলতে এতো সব ছলনা ও পরিকল্পনা ।

আরও পড়ুন- শিল্প সম্মেলন: ধনকড়ের টুইটের জবাবে তাঁকে পাল্টা খোঁচা তৃণমূলের

কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই জনবিরোধী ও দেশ বিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আজ, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে হাজরা মোড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। বিক্ষোভে মোদির কুশপুতুল পোড়ানো হয়। এই বিক্ষোভে দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ প্রসাদ, কংগ্রেস নেতা প্রশান্ত ঘোষ, হরি নারায়ন বিশ্বাস, মানস সিংহ রায়, আইনজীবি আবু নাসির, সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্য প্রমুখ নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন ।

advt 19

 

Previous articleমুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমূল বদলাচ্ছে শিলিগুড়ি, বাড়তি আকর্ষণ অত্যাধুনিক অতিথিশালা ও পার্ক
Next articleবেআইনি ভাবে গাছকাটা রুখলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার