এবার ‘বেসুরো’ রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক, থাকছেন না দলীয় কর্মসূচিতে

বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যে ক্রমশ নিজেদের জমি হারাচ্ছে বিজেপি। একের পর এক নেতা-বিধায়কদের তৃণমূলে যোগদানের পাশাপাশি বাড়ছে দলের অন্দরে ক্ষোভ।  শনিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উত্তর দিনাজপুরে বিজেপিতে ভাঙন-জল্পনা। এবার বেসুরো রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের সমস্ত কর্মসূচি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কথাও জানিয়ে দিলেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক। রীতিমতো জেলা সভাপতি ও সাংসদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।

তাঁর সরাসরি অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগই রাখেন না জেলা সভাপতি। তিনি নিজের পছন্দমাফিক কমিটি গঠন করছেন। তাঁর দাবি, একই কারণে কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় দল ছেড়েছেন। দলের সাংসদ ও জেলা সভাপতিকে তীব্র কটাক্ষ করে কৃষ্ণ বলেন, ‘বিজেপি-র জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন দলকে শক্তিশালী করবেন তিনি। রাজ্য ও কেন্দ্র নেতৃত্বের নিশ্চয়ই তাঁর ওপর আস্থা আছে। কিন্তু আমার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেন না তিনি। সাংসদ ও জেলা সভাপতি মর্জিমাফিক কাজ করেন। তাই আমি দলের সমস্ত কাজকর্ম থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম।’ অন্যদিকে, কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার একদিন পরেই রায়গঞ্জের বিধায়ক বেসুরো হওয়ায় জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। কৃষ্ণ অবশ্য সে-সব নিয়ে কিছু খোলসা করলেন না। শুধু বললেন, ‘সময় সব কিছু বলবে। তবে আমি আজ থেকে বিজেপি-র সমস্ত কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়ালাম।’

এই বিষয়ে বিজেপি জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, ‘আমি আপনাদের থেকে বিষয়টি শুনলাম। কৃষ্ণবাবুর সঙ্গে কথা বলব।’

আরও পড়ুন- উপনির্বাচন: শুভেন্দু-সুজনকে তুলোধোনা করে কমিশনের প্রশংসায় ফিরহাদ

advt 19

 

Previous articleভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্ধার কয়েক কোটির সোনার বিস্কুট
Next articleরাজনৈতিক লড়াইতে হেরে এবার গ্রেফতারের হুমকি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর