টানা ৬ দিন পর ফের ভক্তদের জন্য খুলল তারাপীঠের মন্দির

কৌশিকী অমাবস্যা কাটিয়ে দীর্ঘ ৬ দিন বন্ধ থাকার পর ফের ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হল তারাপীঠের মা কালির মন্দির। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মন্দিরে পুন্যার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।

করোনা আবহে কৌশিকী অমাবস্যার ভিড় ঠেকাতে গত ৩ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভক্তদের জন্য তারাপীঠে ভক্তদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এই চদিনের মধ্যেই গত ৬ সেপ্টেম্বর ছিল কৌশিকী অমাবস্যা। কিন্তু রাজ্যে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। অন্যদিকে চোখ রাঙাচ্ছে  করোনার তৃতীয় ঢেউ। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে ভক্তশূন্য রাখার সিদ্ধান্ত নেয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। রাতে মন্দির চত্বরেই মহাযজ্ঞ ও নিশিপুজোর আয়োজন করা হয়।তবে, ভক্তশূন্য মন্দিরেই প্রথা মেনে হয় মায়ের পুজো। জায়ান্ট স্ক্রিনে তা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। এদিন সতীপীঠের অন্যতম পীঠ  বীরভূমের কঙ্কালীতলাতেও বিশেষ হোম-যজ্ঞের আয়োজন করা হয়।

আরও পড়ুন:পুজোর আগেই ১৫০ রাস্তা সংস্কার, ৩০ পার্ক সাজিয়ে তোলার সিদ্ধান্ত হাওড়া পুরসভার

প্রতিবছর কৌশিকী অমাবস্যার বিশেষ দিনে দূর-দূরান্ত থেকে তারাপীঠের মন্দিরে ভক্তদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মত। মন্দির লাগোয়া শশ্মানেও সামিল হন সাধুসন্ত থেকে শুরু করে তন্ত্রধারীরা। কিন্তু গতবারের ন্যায় এবারও করোনা পিছু ছাড়েনি। উল্টে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে উদ্বেগে গোটা দেশ।তাই সবদিক মাথায় রেখে এই বিশেষ দিনটিতে ভক্তদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে তারাপীঠ মন্দির কর্তৃপক্ষ। শুধুমাত্র মন্দিরের সেবায়েতরা এই মহাযজ্ঞে অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, কৌশিকী অমাবস্যার দিন মঙ্গলারতি দিয়ে শুরু হয় মায়ের পুজো। এরপর দিনভর চলে বিশেষ পুজোপাঠা। মায়ের মূর্তিকে স্নান করানোর পর পরানো হয় রাজবেশ। ফুলের সাজে সাজানো হয় মা-তারাকে। আচার মেনে, দুপুরে তারা মাকে দেওয়া হয় মধ্যাহ্ন ভোগ। শোল মাছ পোড়া, সাত রকমের ভাজা, মাছ, ভাত, পোলাও। সন্ধেয় বিশেষ আরতি। মঙ্গল আরতির পর ফল, মিষ্টি, ক্ষীর দিয়ে দেওয়া হয় শীতল ভোগ। রাতে মন্দির চত্বরেই মহাযজ্ঞ ও নিশিপুজোর আয়োজন করা হয়।

advt 19

Previous articleপুরীর মন্দিরে পুজো, জন্মদিনের আগে সমুদ্রে পা ভেজাচ্ছে ইউভান
Next articleবাংলা ভাগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ময়নাগুড়িতে পথে নামল নমঃশূদ্র বিকাশ পরিষদ