সমুদ্রপথে চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে নিরাপত্তা জোট আমেরিকা-ব্রিটেন- অস্ট্রেলিয়ার

চিনা(China) আগ্রাসন নীতিতে রীতিমতো জেরবার প্রতিবেশী দেশ। স্থলভাগ তো বটেই সমুদ্রপথেও চিনের আধিপত্য বিস্তারে রীতিমতো বিরক্ত বহু রাষ্ট্র। এই পরিস্থিতিতে চিনের সঙ্গে সংঘাত আরো তীব্র হওয়া আমেরিকার(America)। সমুদ্রপথে চিনের আগ্রাসন ঠেকাতে এবার ব্রিটেন(Britain), অস্ট্রেলিয়ার(Australia) সঙ্গে নতুন নিরাপত্তা জোট গড়ল আমেরিকা। শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়ার শক্তি বৃদ্ধি করতে এই দেশকে নতুন পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন ডুবোজাহাজ ও আমেরিকার অত্যাধুনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া হয়েছে।

এই চুক্তি সম্পন্ন করতে সম্প্রতি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বৈঠক করেন। সেখানে চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলা কী ভাবে করা যাবে সেই বিষয়ে বিশদে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে বাইডেন জানান, অস্ট্রেলিয়া যাতে আরও পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন ডুবোজাহাজ তৈরি করতে পারে সেই কাজে তাদের সাহায্য করবে আমেরিকা ও ব্রিটেন। এই শক্তির সাহায্যে সম্ভাব্য নাশকতার বিরুদ্ধে লড়তে পারবে অস্ট্রেলিয়া।

আরও পড়ুন:কয়লাকাণ্ডে আসানসোল- ফরাক্কায় আধিকারিকদের বাড়িতে  সিবিআই তল্লাশি

বৈঠক শেষে মরিসন জানান, দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েও তাঁদের সাহায্য করছে আমেরিকা। তিনি বলেন, ‘‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় পরিস্থিতি ক্রমেই আরও জটিল হচ্ছে। এতে আমাদের সমস্যা হতে পারে। আমাদের ভবিষ্যৎ আমাদেরকেই সুরক্ষিত করতে হবে। তাই অন্য দেশের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।’’ বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আগামী দেড় বছর ধরে আমেরিকা ও ব্রিটেনের নৌবাহিনী অস্ট্রেলিয়ার নৌবহরকে আরও শক্তিশালী করে তোলার কাজ করবে। যদিও শুধুমাত্র আত্মরক্ষার জন্যই এই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিন দেশের রাষ্ট্র প্রধান।

advt 19

 

Previous articleঅভিনেতা সোনু সুদের বাড়ি ও অফিসে দীর্ঘক্ষণ আয়কর অফিসারদের তল্লাশি
Next articleজলপাইগুড়ি জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো‌ উন্নয়ন নিয়ে  বৈঠক