বাড়ির সামনে পচা কুকুর ফেলে আসবো! ডেড বডি কাণ্ডে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি মমতার

“কত বড় ক্ষমতা বুঝুন! আমার বাড়ির সামনে ডেড বডি নিয়ে রাজনীতি করছে। কান মুলে দিলে পালিয়ে যাবে। তোমার বাড়ির সামনে পচা কুকুর ফেলে আসবো। ১০দিন খেতে পারবে না। আমারও মেশনারি আছে। হিংসায় উন্মত্ত বিজেপি। যা ইচ্ছা তাই করছে। অসমে এনআরসি করে খুন করেছে। মৃতদেহের উপর উঠে নাচ্ছে। আর আমার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। আমরাও করতে পারি, কিন্তু ওদের মতো বদমাশ নয়।” শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটের সভায় এভাবেই কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বিজেপিকে সতর্ক করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মানস সাহার মৃতদেহ নিয়ে কেওড়াতলা শ্মশানে দাহ করতে আসার পথে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি। ওই ঘটনায় শুক্রবার ভবানীপুরের ভোটপ্রচারে তৃণমূল নেত্রী দাবি, “একটি ছেলে মারা গিয়েছে। তবে ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যু হয়নি। নির্বাচনের সময় একটা ঘটনা ঘটেছিল। ভালো হয়ে গিয়েছিল। বাড়ি ফিরে ফের হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে সার্জারি হয়েছিল। সেই সার্জারিতে মারা গিয়েছে। যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। সে যে দলেরই হোক।”

এখানেই শেষ নয়। অসমের ঘটনা সামনে এনে বিজেপিকে পাশবিক-দানবিক বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “বাংলার কোনও মেয়ে রাটেভিতে রাস্তা দিয়ে গেলেও কোনও গুন্ডা কিছু করতে পারে না। কারও কিছু করার সাহস নেই। বাংলার ভাইয়েরা তাদের মা-বোনদের রক্ষা করে। আমাদের দিয়ে আঙুল তোলো, আর গতকাল অসমে কী করেছে! কত লোককে এনআরসি-র নামে খুন করেছে। ফায়ারিং করে খুন করে ডেডবডির উপরে নাচছো! লজ্জা করে না। আর বাংলার মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন করছো। আজও দিল্লিতে কোর্টে তিন জন মারা গিয়েছে গুলিতে। উত্তর প্রদেশে কোনও আইন আছে! না বিহারে কোনও আইন আছে! বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোনও আইন নেই।”

বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, “হিংসায় উন্মত্ত একটি দল বিজেপি। প্রতিদিন গুন্ডামি করছে। নিজের বাড়িতে নিজে বোম মারছে। আর টিভিতে বলছে আমায় বোমা মেরেছে। কে মারবে রে তোকে? তোর গায়ে ছুঁতেই লজ্জা লাগে। তৃণমূল গুন্ডাদের দল নয়। আগে সিপিএমের আমলে ভোট দিতে গেলে বোমা নিয়ে তাড়া করত। বড় বড় বাড়িগুলি তালা দিয়ে দিত। দেখেননি আপনারা? কলকাতার মানুষ সাক্ষী। ৩০ বছর সিপিএমের সঙ্গে লড়তে পারলে তোমাদের বিরুদ্ধেও লড়তে পারি। ভ-এ ভবানীপুর, ভ-এ ভারতবর্ষ। আমাকে ভয় দেখিয়ে চমকে ধমকে লাভ নেই। তৃণমূল লড়াই করে। এজেন্সির ভয়ে আত্মসমর্পণ করে না।”

আরও পড়ুন- ১৪৪ ধারা অমান্য করে আগরতলায় বিজেপির কর্মসূচি, থানায় অভিযোগ তৃণমূলের

advt 19

 

Previous article১৪৪ ধারা অমান্য করে আগরতলায় বিজেপির কর্মসূচি, থানায় অভিযোগ তৃণমূলের
Next articleচুল ভুল কাটার অপরাধে মডেলকে দু’কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ আদালতের