আরজিকরে এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা। যার জেরে হযরানির শিকার হচ্ছেন রোগীরা।এমনিতেই পুজোর হাওয়া এখনও পুরোপুরি কাটেনি। তার মাঝে গোদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মতো এই আন্দোলনের জেরে ব্যাহত হচ্ছে পরিষেবা।তাই এই পরিস্থিতি কাটাতে এবার কঠোর মনোভাব দেখাল স্বাস্থ্য ভবন৷
স্বাস্থ্যভবনের তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে না ফিরলে ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন, এর পরেও যদি জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ না দেন তাহলে তাঁদের শোকজ করা হবে৷ এমনকী কঠোর শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে৷
আরও পড়ুন- অধরা শান্তনুর আক্রমণকারীরা: বিপ্লব দেবের পুলিশের হাস্যকর যুক্তি! বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি তৃণমূলের
অধ্যক্ষের অপসারণ-সহ একাধিক দাবিতে গত ৩ অক্টোবর থেকে আর জি করে অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা৷ পুজো মিটলেও সেই আন্দোলন চলছেই৷ উল্টে শনিবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা৷ আন্দোলনকারী জুনিয়র, ইন্টার্নদের বোঝাতে রবিবার তাঁদের ডেকে বৈঠক করেন তৃণমূলের চার বিধায়ক সুদীপ্ত রায়, অতীন ঘোষ, তাপস রায়, নির্মল মাজি এবং সাংসদ শান্তনু সেন৷ কিন্তু হবু ডাক্তারদের বুঝিয়ে কাজে ফেরানো যায়নি৷ তার পরই আজ সোমবার মেন্টর গ্রুপের প্রতিনিধিদের স্বাস্থ্য ভবনে ডেকে পাঠানো হয়৷ সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে আন্দোলনরত ছাত্ররা কাজে যোগ না দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ যাঁরা ডিউটি করবেন না সেই সমস্ত পিজিদের শোকজ করা হবে৷ হাসপাতাল থেকে কোনও রোগী রেফার করা যাবে না৷আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ডা সুদীপ্ত রায় জানিয়েছেন, রোগী রেফার করলে হাসপাতালের সুপার বা ডেপুটি সুপারকে জানাতে হবে৷
আরজি কর হাসপাতালে রোগী পরিষেবা কোনওভাবেই বিঘ্নিত হতে দেওয়া যাবে না’। আউটডোর-ইনডোর পরিষেবা মসৃণ রাখতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্তদের।যাঁরা কাজে আসছেন না, তাঁদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে রাখতে হবে। স্পষ্ট বার্তা স্বাস্থ্য দফতরের। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা আছে।‘আলোচনা করে রফাসূত্র খোঁজার কাজও চালাতে হবে সমান্তরালে, জানিয়ে দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।