পুজো মিটতেই প্রচারে নেমে পড়েছেন চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের (By Poll) প্রার্থীরা। কোচবিহারের দিনহাটায় যেদিন বিজেপি প্রার্থী বিক্ষোভের মুখে পড়লেন, সেদিনই চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। মোতায়েন করা হল আরও ৫৩ কোম্পানি। সবমিলিয়ে দাঁড়াল ৮০ কোম্পানি। কমিশন সূত্রে খবর, ভোটের পর ফিরে যাবে ৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি ৭ কোম্পানি থাকবে ২ নভেম্বর গণনা পর্যন্ত। উপনির্বাচনের এক সপ্তাহে আগেই পৌঁছে যাবে অতিরিক্ত বাহিনী।

আরও পড়ুন: অবশেষে সাংসদ পদে ইস্তফা বাবুলের, ফের লড়বেন ভোটে? জল্পনা তুঙ্গে

৩০ অক্টোবর উপনির্বাচন রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্র – দিনহাটা, শান্তিপুর, গোসাবা, খড়দহে। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে আগে থেকেই সুরক্ষার স্বার্থে মোট ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছিল। এরিয়া ডমিনেশন, রুট মার্চ চালাচ্ছিলেন বিএসএফ (BSF), সিআরপিএফ (CRPF), এসএসবি-র জওয়ানরা। ভোটের দিন যত এগোচ্ছে, নিরাপত্তার স্বার্থে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা বোধ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাই পুজো মিটতেই আরও ৫৩ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হয়েছে রাজ্যে উপনির্বাচনের ৪ টি কেন্দ্রে। এই জওয়ানরা স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে টহলদারি চালাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, কোচবিহারের দিনহাটায় প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল। তারপর তিনি বিষয়টি জানান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পরই নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়িয়ে দেওয়ার।


