এবার পুরভোটেও “গোল্লা” পাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছে CPM

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মহাজোট করে বিগ-জিরো পেয়েছিল সিপিএম তথা বামেরা। উপনির্বাচনগুলিতেও সেই ধারা বজায় আছে বা থাকতে চলেছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। তারই মাঝে কলকাতা-হাওড়া সহ রাজ্যে পুরভোটের দামামা বাজতে চলেছে। এবং সেখানেও “গোল্লা” বা “শূন্য” পাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছে সিপিএম তথা বামেরা। তাই এমন কেলেঙ্কারির হাত থেকে রেহাই পেতে আগেভাগে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বামেরা।

পুরভোটে যাতে বিগ-জিরো পেতে না হয়, তার জন্য এখন থেকেই ওয়ার্ড বাছাই করে প্রস্তুতি শুরু করতে চাইছে সিপিএম। দলের সংগঠনের যা অবস্থা তাতে বিভিন্ন এলাকায় ঝান্ডা ধরার লোক পাওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন অলিমুদ্দিনের ম্যানেজারেরা। তাই হাঁকাই করে বা জোট করে সব পুরসভার সব ওয়ার্ড নয়, বাছাই করা ওয়ার্ডগুলিতেই প্রার্থী দেওয়ার পথে হাঁটতে চায় সিপিএম। রাজ্য নেতৃত্বের তরফে সেই বেদ বাক্য বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলায় দলীয় নেতৃত্বকেও। একই সঙ্গে বুথ পর্যায়ে স্কুটিনি করে এজি থেকেই কাজে নেমে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন-বাবার সঙ্গে এনসিবি দফতরে অনন্যা, জিজ্ঞাসাবাদ সেই সমীর ওয়াংখেড়ে

পুরভোটে সিপিএম তথা বামেদের প্রাথমিক টার্গেট কোনও পুরসভা দখলের অলীক স্বপ্নে না গিয়ে যেন কিছু কিছু কাউন্সিলর জিতিয়ে আনা যায়। সর্বপরি, ভোটপ্রাপ্তির হিসেবকে নূন্যতম “সম্মানজনক” জায়গায় নিয়ে যাওয়া। সব ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে গেলে জেতার সম্ভাবনা তো থাকবেই না, বরং ভোটপ্রাপ্তির হার আরও করুণ হবে। সিপিএম সূত্রের খবর, আগামী ৯ নভেম্বর দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক ডাকা হচ্ছে। সেখানেই পুরভোটের প্রস্তুতি নিয়ে বিশদে আলোচনা হতে পারে। কংগ্রেসের সঙ্গে ফের জোট বাঁধা হবে, নাকি একলা চলো নীতি থাকবে, সেটা রাজ্য কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।

advt 19

 

Previous articleবাবার সঙ্গে এনসিবি দফতরে অনন্যা, জিজ্ঞাসাবাদ সেই সমীর ওয়াংখেড়ে
Next articleইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা,অমান্য করে শিবচরে আটক ৩১ জন মৎস্যজীবী