বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা:
বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন হিসাবে ইকবাল হোসেনকে চিহ্নিত করেছিল বাংলাদেশ পুলিশ। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই বৃহস্পতিবার কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করা হল তাঁকে। কুমিল্লা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ এই তথ্য জানিয়েছেন।কক্সবাজারের সুগন্ধা বিচ থেকে রাত ১০টা ১০ নাগাদ আটক করা হয় তাঁকে।
বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম এই গ্রেফতারির সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইকবাল হোসেনকে গ্রেফতারের পর তাঁকে কুমিল্লায় পাঠানো হয়েছে। সেখানেই তাকে জেরা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে,প্রাথমিকভাবে জেরায় ইকবাল তার দোষ স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন- লক্ষ্য জনমুখী প্রকল্প তৈরি করা: এবার ‘বিশেষ সচিব’ পদ চালুর পথে নবান্ন
কুমিল্লার ঘটনায় কমপক্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুর্গাপূজার অনুষ্ঠানস্থলে থাকা CCTV ক্যামেরা থেকে কয়েক ঘণ্টার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ। এর পরেই ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে বাংলাদেশ পুলিশ। ওই ভিডিও ফুটেজে হুসেনকে অশান্তির ঘটনাস্থলে ঢুকতে দেখা যায়।কুমিল্লার এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের একাধিক জায়গায় অশান্তির আগুন জ্বলে ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কয়েকজনকে আটকও করে পুলিশ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অশান্তির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেন। যদিও তারপরেও অশান্তি হয়। পুলিশের দাবি প্রায় ৪৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গোটা দেশে অশান্তির প্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। পুলিশ কর্মীরাও জখম হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারা দেশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। কোনও রকম বিভ্রান্তিকর তথ্য অথবা গুজব কিংবা উসকানিতে উত্তেজিত না হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ পুলিশ থানায় অভিযোগ দায়ের করার আর্জি জানানো হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। কেউ যাতে আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়, সেই পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে সকলকে।