আগরতলায় তৃণমূল ভোট লড়ছে পুরসভায় বোর্ড গঠন করতে: প্রচারে আত্মবিশ্বাসী কুণাল

“আগরতলার(Agartala) পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূল লড়াই করছে পুরবোর্ড গঠন করতে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে কাজের সুযোগ দিন।” আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে বুধবার আগরতলার মাটিতে এক জনসভায় উপস্থিত হয়ে ত্রিপুরাবাসীর কাছে আবেদন জানালেন তৃণমূলের(TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। একই সঙ্গে কড়া ভাষায় বিজেপির(BJP) ধর্মের রাজনীতির তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।

এদিনের জনসভা থেকে কুণাল ঘোষ বলেন, বাংলার সঙ্গে ত্রিপুরার অনেক মিল। ভাষাগত দিক থেকে, সংস্কৃতির দিক থেকে এই দুই রাজ্য একে অপরের অত্যন্ত কাছের। পাশাপাশি বিজেপিকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “বাংলায় ওরা এসেছিল বিভাজনে রাজনীতি নিয়ে। স্লোগান তুলেছিল আপকি বার ২০০ পার। তবে বাংলার মানুষ জবাব দিয়েছে ২১৩ আসন পেয়েছে তৃণমূল। এদিকে কেন্দ্রের নীতির জেরে ২০০ পার করছে পেট্রোল, ১০০ পেরিয়েছে ডিজেল, রান্নার গ্যাস ১০০০ পার। ধর্ম ধর্মের জায়গায়, ধর্ম থাকবে ঠাকুর ঘরে, ধর্ম থাকবে হৃদয়ে। কিন্তু রাস্তায় যখন মিছিল করব তখন স্লোগান তুলব রুটি- কাপড়া-মকানের। ধর্ম আলাদা, জীবনের লড়াই আলাদা।” এছাড়াও এদিনের জনসভা থেকে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, রূপশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মত জনমুখি প্রকল্পগুলির কথা তুলে ধরেন কুণাল ঘোষ। পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসের সুরে তিনি বলেন, যে ছাত্র সারা বছর পড়াশোনা করে তাকে পরীক্ষার আগের দিন পড়তে হয় না। বাংলায় যেদিন নির্বাচন হবে তৃণমূল জিতবে। কারণ সারা বছর ধরে তৃণমূল নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে থাকে। ত্রিপুরার ক্ষেত্রেও তৃণমূল নির্বাচন লড়ছে আগরতলা পুরসভায় বোর্ড গঠন করতে। ২৩ এর নির্বাচনের আগে আমাদের কাজের সুযোগ দিন। কলকাতাকে যেমন আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তোলা হয়েছে, আগরতলাকেও কলকাতার যমজ ভাইয়ের মতো গড়ে তোলা হবে।

আরও পড়ুন:আলাপনকে খুনের হমকির তদন্তে হেয়ার স্ট্রিট থানা, বেপাত্তা প্রেরক গৌরহরি

পাশাপাশি ত্রিপুরা রাজ্য ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “এই রাজ্যে ১০০০০ শিক্ষক-শিক্ষিকা রাস্তায়। তাদের বিকল্প ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি কিন্তু তা করেনি। সরকারি কর্মীরা বঞ্চিত, অথচ ভোটের সময় রাজনৈতিক কুৎসা ও হিন্দু-মুসলিম বিভেদ চালিয়ে যাচ্ছে। এর বাইরে বিজেপির কিছু নেই।” তৃণমূল নেতাদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে বিপ্লব দেবকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “৩৪ বছর হামলার পর যে দলটা রাজ্যে তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসেছে তাকে চোখ রাঙাবেন না বিপ্লব দেব। ওতে আমাদের দমানো যাবে না। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে ত্রিপুরায় তৃণমূল জয়ী হবে।” আগামী ৩১ অক্টোবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরাতে আসছেন ।সকলকে সেই জনসভায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানান তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

Previous articleবিতর্কে জড়ালেন শোয়েব আখতার, টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান চলাকালীনই আসন ছেড়ে উঠে গেলেন তিনি
Next articleউদ্বেগ বাড়িয়ে ফের এক হাজার ছুঁইছুঁই রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ!