পুরভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সমঝোতা! শরিকরা চটে লাল সিপিএমের উপর

সিপিএম আছে সিপিএমেই। শূন্যয় এসে ঠেকার পরেও ভাবনার কুপমণ্ডুকতা গেল না। পুরভোটে সিপিএম একা লড়বে, না কংগ্রেসের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সমঝোতায় থাকবে, সে নিয়ে সিদ্ধান্তই নিতে পারল না। শুধু তাই নয়, হেলেই থাকল কংগ্রেসের দিকে। এমনকি আইএসএফের সঙ্গে সম্পর্ক কী হবে, সেটাও অনুচ্চারিত রইল। মঙ্গলবার দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকের পর সিপিএম ফিরে গেল সেই পুরনো অবস্থানে। দলের বক্তব্য, বিজেপি আর তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়তে হবে বিরোধী সব শক্তিকে একজোট করে।

অথচ বিধানসভায় ভরাডুবির পর রাজ্য সিপিএম ঘটা করে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছিল, বিজেপি-তৃণমূল সমান শত্রু বলা ঠিক হয়নি। দুটি দলকে একাসনে বসানো উচিত হয়নি। প্রথম শত্রু অবশ্যই বিজেপি। মানুষ দলের এই অবস্থান মেনে নেয়নি। তাই বিজেপি-বিরোধী সব ভোট সংহত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বাক্সে।

অথচ পুরভোট আসতেই সেই পুরনো অবস্থানে ফিরে যাওয়া। অর্থাৎ কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না হোক সমঝোতার পথ খুলে রাখা। আর তাতে বামফ্রন্টেই সমালোচনা হচ্ছে প্রকাশ্যে। ফরোয়ার্ড ব্লক রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, বামফ্রন্টে আগেই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে বামফ্রন্ট কোনও জোটে যাবে না। তারপর এসব কথার কোনও অর্থ হয় না। আরএসপি প্রকাশ্যে এ কথা না বললেও বৈঠকের পর সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্যে ব্যাপক চটেছে দল। তাদের বক্তব্য, জোটের জের বামফ্রন্ট দেখেছে। জোট ছাড়া উপনির্বাচন ইঙ্গিত দিয়েছে মানুষের ভাবনার গতি-প্রকৃতির। এরপরেও যদি বাম নেতাদের শিক্ষা না হয়, তাহলে বামফ্রন্ট তুলে দিয়ে যে যার মতো লড়াই করুক। এর চাইতে আর তো কিছু খারাপ হতে পারে না!

Previous articleবিয়ে করলেন নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই
Next articleকৃষক আন্দোলনের বর্ষপূর্তি , ২৬ নভেম্বর থেকে দেশজুড়ে শুরু হবে চড়া সুরে বিরোধিতা