KMC 86: মানব সেবার জন্যই বড় চাকরি ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে সৌরভ

রাজনৈতিক পরিবার থেকে বড় হয়ে ওঠলেও উচ্চশিক্ষিত সৌরভ দীর্ঘদিন কর্পোরেট জগতে কর্মরত ছিলেন

কলকাতা পুরসভার ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী (TMC Candidate) হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের (Chamndrima Bhattacharya) ছেলে সৌরভ বসু (Sourav Basu)। প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নেমে শনিবার গরচা এলাকায় প্রচার করেন মন্ত্রী পুত্র। রাজনৈতিক পরিবার থেকে বড় হয়ে ওঠলেও উচ্চশিক্ষিত সৌরভ দীর্ঘদিন কর্পোরেট জগতে কর্মরত ছিলেন। এরপর মানব সেবার তাগিদে ও রাজনীতির নেশায় ২০১৮ দলে মোটা টাকার চাকরি ছেড়ে তৃণমূলের পতাকা ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ।

প্রথমবার প্রার্থী হওয়ার পর সৌরভ বেন, “শোনার পর যে অনুভুতি টা হয়েছিল সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তবে আমি যতটা আনন্দিত তার থেকে বেশি গর্বিত। কারণ, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে ৮৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী নির্বাচিত করেছেন বলে। এই ওয়ার্ডেই আমার বড় হয়ে ওঠা। এই ওয়ার্ড থেকেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি। ২০০২ সালে এই ওয়ার্ড থেকেই আমার মা পুরসভা ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তাই এই ওয়ার্ডে সবাই আমার পরিচিত, সবাই আমার প্রতিবেশি, সবাই আমার আত্মীয়। আগামিদিন এই ওয়ার্ডকে আরও সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে চাই।”

দিতে আসার পর ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য কী পরিকল্পনা রয়েছে সৌরভের? তাঁর কথায়, “এই ওয়ার্ডে অনেক মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষেরা থাকেন। তাঁদের কোনও আচার-অনুষ্ঠানে কমিউনিটি হল পান না। তাই আমি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম একটি কমিউনিটি হল করব। এর পাশাপাশি রাস্তাঘাট থেকে আলো, জলের আরও সুবন্দোবস্ত করব। সর্বপরি, এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ যাতে আরও সুন্দরভাবে তাঁদের দৈনন্দিন জীবন-যাপন করতে পারেন, সেদিকেও নজর থাকবে আমার।”

আরও পড়ুন:Fake Rupees: পাকিস্তানে তৈরি, বাংলাদেশ হয়ে ভারতে যায় জাল টাকা

প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভার ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডটি ২০১৫ সাল বিজেপির দখলে ছিল। গত পুরসভার নির্বাচনে এখান থেকে জিতেছিলেন বিজেপির তিস্তা বিশ্বাস। সম্প্রতি এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বিজেপি কাউন্সিলর তিস্তার। এ প্রসঙ্গে সৌরভ জানান, “উনি বিজেপি কাউন্সিলর হতে পারেন। রাজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্য থাকলেও তিস্তা বিশ্বাসের সঙ্গে আমাদের প্রতিবেশীর মতো সম্পর্ক। ওনার বাড়ির উল্টোদিকেই আমার বাড়ি। প্রতিদিনই দেখা হতো। যেদিন ঘটনা ঘটলো সেদিন সকালে আমার সঙ্গে কথা হয়েছিল। খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা মেনে নেওয়া মুশকিল। তবে ওনার পরিবারের পাশে আমরা আছি।”

Previous articleOmicron Variant: চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার নয়া রূপ ওমিক্রন, এই দেশে জারি হচ্ছে জরুরি অবস্থা
Next articleSSKM Nurses Agitation : বেতন বৈষম্য ও বদলির অভিযোগে এসএসকেএম থেকে মিন্টো পার্ক পর্যন্ত মিছিল নার্সদের