অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী সরকার: দোলা-শান্তার বহিষ্কারে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের

ভারতীয় বিচারব্যবস্থা অনুযায়ী প্রত্যেককে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হয়, এই বহিষ্কার সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক

ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী বিচার ব্যবস্থায় কোন অপরাধীকে অবশ্যই তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হয়। তবে কোনওরকম সুযোগ না দিয়ে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক উপায়ে বরখাস্ত করা হয়েছে তৃণমূলের(TMC) দুই সাংসদকে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে মোদি সরকারকে ‘স্বৈরাচারী সরকার’ বলে তোপ দাগলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়(Sukhendu Sekhar Roy)। একই সঙ্গে এটাও জানিয়ে দিলেন, ‘সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধীদের অধিকার রয়েছে বিরোধিতা করার। সংসদে বিরোধিতা না করলে কোথায় বিরোধিতা হবে।’

প্রসঙ্গত, গত বাদল অধিবেশনে পেগাসাস সফটওয়্যার ব্যবহার করে দেশবাসীর ওপর বেআইনি নজরদারির ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। যেখানে মুখ্য ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলকে। রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন(Dola Sen) ও শান্তা ছেত্রীর মত নেত্রীরা। বাদল অধিবেশনের সেই কোপ নেমে এসেছে চলতি শীতকালীন অধিবেশনে। কোনওরকম আলোচনা ছাড়া পুরো শীতকালীন অধিবেশনের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে তৃণমূলের দুই সাংসদ দোলা সেন, শান্তা ছেত্রী সহ জন বিরোধী দলের সাংসদকে। এরই প্রতিবাদে সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রীয় সরকারকে কার্যত তুলোধোনা করলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়।

আরও পড়ুন:বাদল অধিবেশনের শাস্তি চলতি অধিবেশনে, বহিষ্কৃত ২ তৃণমূল সাংসদসহ ১২ জন

এদিন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “যা হলো তা সম্পূর্ণরূপে অসাংবিধানিক এবং অগণতান্ত্রিক। দেশের গণতন্ত্রের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হয়। এখানে তা হয়নি। যদি তাঁরা কোন অন্যায় করে থাকেন তার তদন্ত কমিশন বসানো হোক। কারো সঙ্গে আলোচনা না করে কোন সুযোগ না দিয়ে আমাদের সাংসদদের বরখাস্ত করা হয়েছে।” ইউপিএ জমানার উদাহরণ টেনে তিনি আরো বলেন, “তৎকালীন সময়ে এনডিএ-র তরফে বহুবার সংসদ অচল করা হয়েছে। তবে এমন অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ করা হয়নি। গণতন্ত্রে বিরোধীদের অধিকার রয়েছে বিরোধিতা করার সংসদে বিরোধিতা না করলে কোথায় বিরোধিতা হবে। যদি তৃণমূল সাংসদের তরফে কোন রকম অন্যায় করা হয়ে থাকে তাহলে সেদিনের ঘটনার ছবি প্রকাশে আনা হোক কেন রাজ্যসভা টিভি বন্ধ করা হয়েছে।” পাশাপাশি বিজেপিকে তিনি এটাও স্মরণ করিয়ে দেন, “তৃণমূল সর্বদা সংসদে মানুষের হয়ে কথা বলে এবং সংসদের গরিমাকে মর্যাদা দেয়। ২ জন সাংসদকে বরখাস্ত করে তৃণমূলকে থামানো যাবে না। তৃণমূল লড়াই করতে জানে।”

Previous articleBJP: প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, মহিলা প্রার্থীতেই প্রাধান্য
Next articleFalakata: ব্লেড চালিয়ে কলেজ ছাত্রীকে খুনের চেষ্টা!