KMC 77: প্রচারে ভিড় বাড়াতে নগদ টাকা চাইছে বিজেপি কর্মীরা, প্রার্থী বলছেন “হাত খরচ”

ভোট মানেই রোজগার ও উপার্জনের একটা জায়গা। এই সুযোগে প্রত্যেকে চায় কিছু কামিয়ে নিতে।

প্রার্থীর সঙ্গে প্রচারে বেরোলে, দেয়াল লিখলে, পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুন লাগলে কর্মী পিছু ৫০০ টাকা লাগবে। ভোটের সময় বেকার খাটা যাবে না। শুধু জল-খাবার-টিফিনে হবে না। কর্মী পিছু দিনে নগদ ৫০০ টাকা দিতে হবে। কলকাতা পুরসভার (KMC) ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি (BJP) প্রার্থী গোপা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Gopa Banerjee) এমনই শর্ত দিয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। একথা নিজের মুখেই স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।

আরও পড়ুন:Chandidas Mal: লোপামুদ্রা- চন্দ্রাবলীদের শিক্ষাগুরু, আগমনী ও টপ্পা গানের প্রখ্যাত শিল্পী চণ্ডিদাস মাল প্রয়াত

কিন্তু দলের হয়ে প্রচারে গেলে কেন নগদ টাকা চাওয়া হচ্ছে? এ প্রশ্নের উত্তরে গোপা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভোট মানেই রোজগার ও উপার্জনের একটা জায়গা। এই সুযোগে প্রত্যেকে চায় কিছু কামিয়ে নিতে। ওদের আর দোষ কোথায়? পার্টি থেকে তো আর কাউকে মাস মাইনে দেওয়া হয় না, তাই ভোটের সময় কর্মী-সমর্থকরা কিছু আশা করে। হাত খরচ হিসাবে তারা এই টাকাটা চাইছে।”

এরপর আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী গোপা। তাঁর কথায় “আমার সঙ্গে খুব অল্প কয়েকজন কর্মী-সমর্থক রয়েছেন। তাই ওরা যাদের আনছে, তাদের জন্য দিনে মাথাপিছু ৫০০ টাকা করে নগদ চাইছে। যদিও আমি এখনও পর্যন্ত কাউকে কোনও টাকা দিইনি। আমার কাছে টাকা নেই। আর বাইরে থেকে লোক আনলে তাদেরকে তো টাকা দিতেই হবে। তবে আমি টাকা দেবো কিনা, সেটা ভেবে দেখব।”

এখানেই শেষ নয়, গোপা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বীকার করেছেন, বিজেপির এমন কিছু লোক তাঁর কাছে নগদ টাকা চাইছেন, যাঁরা এই ওয়ার্ডের বাসিন্দা। খুব স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, ভোটের আগে এভাবে কী ওয়ার্ডের ভোটারদের নগদ টাকা বিলি করা যায়? নগদ টাকা দেওয়া কিন্তু নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের সামিল।

Previous articleBreakfast sports: ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleWeather Update:কুয়াশার চাদরে মুড়েছে তিলোত্তমা, ব্যাহত উড়ান পরিষেবা